যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডোর আঘাতে নিহত অন্তত ২৭

টর্নেডো
টর্নেডো © সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের দুটি অঙ্গরাজ্যে টর্নেডোর তাণ্ডবে অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছেন এবং বহু মানুষ আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশটির কেনটাকিতে ১৮ জন, মিসৌরিতে ৭ জন এবং ভার্জিনিয়ায় ২ জন নিহত হয়েছেন। খবর দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট।

শুক্রবার (১৭ মে) মধ্যরাতে আঘাত হানা এই ভয়াবহ ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাজারো ঘরবাড়ি ও স্থাপনা।

কেনটাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেসার জানিয়েছেন, রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় টর্নেডোর আঘাতে অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিশেষ করে লরেল কাউন্টিতে বহু মানুষ আহত হয়েছেন। স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা জন রুট জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধার তৎপরতা চলছে এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারে জরুরি দল কাজ করছে।

অন্যদিকে, মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের সেন্ট লুইস শহরে পাঁচজনসহ অন্তত সাতজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ। সেন্ট লুইসের মেয়র কারা স্পেনসার বলেন, “আমাদের শহর আজ গভীর শোক পালন করছে। এই প্রাণহানি এবং ব্যাপক ক্ষতি অত্যন্ত মর্মান্তিক।” তিনি আরও জানান, টর্নেডোর আঘাতে শহরের প্রায় পাঁচ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সবশেষ দ্য ওয়াশিংটন পোস্টে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে টর্নেডো ও শিলাবৃষ্টিসহ ভয়াবহ আবহাওয়ায় অন্তত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কেনটাকিতে ১৮ জন, মিসৌরিতে ৭ জন এবং ভার্জিনিয়ায় ২ জন নিহত হয়েছেন।

এছাড়া সেন্ট লুইস থেকে প্রায় ২০৯ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত স্কট কাউন্টিতেও একটি টর্নেডো আঘাত হানে, যেখানে আরও দুজনের মৃত্যু হয় এবং অনেকেই আহত হন।

শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া এই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার প্রভাবে শুধু মিসৌরি ও কেনটাকি নয়, উইসকনসিনেও টর্নেডো আঘাত হেনেছে। গ্রেট লেক অঞ্চলে হাজারো মানুষ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে।

অন্যদিকে, টেক্সাসে বিরূপ আবহাওয়ার কারণে দেখা দিয়েছে তীব্র দাবদাহ। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সেখানে তাপমাত্রা বিপজ্জনক হারে বাড়ছে এবং সতর্কতা জারি করা হয়েছে।