জবি শিক্ষার্থীদের ‘মাইক্রোফোন ফেলে দেওয়া’ নিয়ে বিতর্ক: জবি ঐক্যের ব্যাখ্যা
- ১৮ মে ২০২৫, ১২:১০
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের তিন দফা আন্দোলনের একটি ব্রিফিং শেষে শিক্ষার্থীদের মাইক্রোফোন ফেলে দেওয়ার একটি ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এনটিভির সাংবাদিক আবির আহমেদ তার ফেসবুক পোস্টে ঘটনাটির নিন্দা জানিয়ে লেখেন, ‘দাবি আদায়ের ব্রিফিং শেষে টেলিভিশনের সবগুলো মাইক্রোফোন মাটিতে ফেলে দিল তারা। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এমন আচরণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
আজ শনিবার (১৭ মে) বিকেল ৪টায় জবি ঐক্যের পক্ষ থেকে এর ব্যাখ্যা দেওয়া হয়।
আবির আরও লিখেন, ‘আজকে ব্রিফিং করল তারা সুন্দর করে। তাদের শিক্ষকরা ব্রিফিং করল, শিক্ষার্থীরা শেষে ব্রিফিং করলো। ব্রিফিং শেষে সব মাইক্রোফোন মাটিতে ফেলে দিল; এটা যে তারা কি বুঝাতে চাইলো বুঝতে পারলাম না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে নিজেদের তুলনা দেন। এখন বুঝেছেন ওদের আর আপনাদের পার্থক্য?’
ঘটনাটি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বিতর্ক তৈরি হলে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি রিয়াজুল ইসলাম ব্যাখ্যামূলক একটি বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের আন্দোলনের মাঠে কোনো টেবিল ছিল না, মাইক্রোফোন রাখার সুযোগও ছিল না। হঠাৎ বৃষ্টি নামায় সবাই দ্রুত জায়গা ছাড়ার চেষ্টা করে। একজন সাংবাদিক ভাইয়ের পরামর্শে মাইক্রোফোনগুলো সাময়িকভাবে ফ্লোরে রাখা হয়েছিল যেন সবাই দ্রুত সেগুলো সংগ্রহ করতে পারেন।’
আরও পড়ুন: এপ্রিলের বেতন ছাড়ে আল্টিমেটাম, মাউশি ঘেরাওয়ের ঘোষণা
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কখনোই চাইনি সাংবাদিকদের অসম্মান হোক। আমাদের আন্দোলনের সংবাদ ছড়িয়ে দিতে তারা যে পরিশ্রম করছেন, তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। যদি কারো মনে কষ্ট দিয়ে থাকি, আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।’
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, সাংবাদিকরা বিষয়টি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং ভবিষ্যতে আন্দোলনের অংশ হিসেবে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়, সে বিষয়ে আন্দোলনরতরা সচেতন থাকবে।
ঘটনাটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এবং সাংবাদিক মহলে আলোচনার জন্ম দিলেও ছাত্রদের দুঃখপ্রকাশ এবং ব্যাখ্যার পর অনেকেই ঘটনাটিকে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল হিসেবে দেখছেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত থাকা সম্মুখ সারির আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী তাইমুর মুবিন বলেন, ‘আমি ওখানে ছিলাম। উনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে মিথ্যা প্রচারণা করছে। ব্রিফিং শেষে কয়েকজনের হাতে অনেকগুলো বুম ছিল। যখন সাংবাদিকরা বুম নেয়ার জন্য আসে তখন কয়েকজন সাংবাদিক সবগুলো বুম একসাথে করে নিচে রাখার জন্য বললো, যেন সবাই খুঁজে নিতে পারে সহজে এবং এর দায়িত্বে কয়েকজন দাঁড়িয়ে ছিল। হাত থেকে বুম খুঁজে নেওয়াটা ঝামেলা ছিল। কারণ কার হাতে কোন টিভির বুম ছিল তা নির্দিষ্ট করা ছিল না। তাই সবগুলো একসাথে করে রাখা হয়েছিল। এর জন্য অনেক সাংবাদিক এসে সহজেই তাদের বুম বের করে নিয়ে চলে যায়।’