সমাবর্তনে ড. ইউনূস

চবি বলতেই পারে, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটা নোবেল পুরস্কার পেয়েছে

চবির ৫ম সমাবর্তনে বক্তব্য রাখছেন ড. ইউনূস
চবির ৫ম সমাবর্তনে বক্তব্য রাখছেন ড. ইউনূস © টিডিসি

বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) যখন নিজের পরিচয় দেয় তখন হয়ত বলে, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নোবেল পুরস্কার পেয়েছি। একই সাথে ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয় গৌরববোধ করে যে আমি তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম। 

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় গৌরব করার বড় দুটি কারণ রয়েছে। দুইটা এজন্যে যে, নোবেল পুরস্কারের গোড়াপত্তন বা এর যে কর্মসূচি তা শুরু হয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে। এছাড়া এই বিশ্ববিদ্যালয় গৌরববোধ করতে পারে যে, আমি শুধু এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকই ছিলাম না পাশের গ্রামের ছাত্রও ছিলাম। সেই জায়গা থেকে চবি বলতেই পারে, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি নোবেল পুরস্কার পেয়েছে।

বুধবার (১৪ মে) দুপুর ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠে আয়োজিত চবির ৫ম সমাবর্তনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। 

এর আগে সমাবর্তনে প্রধান উপদেষ্টাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ডি-লিট ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এছাড়া ৪২ জনকে পিএইচডি ও ৩৩ জনকে এমফিল ডিগ্রি প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘ ৯ বছর পর দেশের সর্ববৃহৎ চবির সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা ২২ হাজার ৬৮৬ জন শিক্ষার্থী।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার, বাংলাদেশ মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস. এম এ ফায়েজ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার। 

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, উপ-উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ। 

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠা হয়৷ এরপর ১৯৯৪ সালে প্রথম সমাবর্তন, ১৯৯৯ সালে দ্বিতীয়, ২০০৮ সালে তৃতীয় এবং সর্বশেষ ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি চতুর্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়।