বিমান কোন জ্বালানিতে চলে?

বিমানে জ্বালানি তেল লোড করা হচ্ছে
বিমানে জ্বালানি তেল লোড করা হচ্ছে © সংগৃহীত

বিমান চলাচলের জন্য যে জ্বালানি ব্যবহৃত হয়—তা নির্ভর করে বিমানের ধরন, ইঞ্জিনের গঠন এবং এর কার্যকারিতার ওপর। মূলত দুই ধরনের জ্বালানি বিমানে ব্যবহৃত হয়-জেট ফুয়েল এবং অ্যাভিয়েশন গ্যাসোলিন। আধুনিক বাণিজ্যিক বিমান—যেমন বোয়িং বা এয়ারবাসের জেট বিমানগুলো চলে জেট-এ বা জেট-এ১ নামে পরিচিত কেরোসিন-ভিত্তিক জ্বালানিতে। এই জ্বালানির প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এটি উচ্চ তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে এবং অত্যন্ত স্থিতিশীল। যা দীর্ঘ দূরত্বে নিরাপদ উড্ডয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

জেট-এ১ সাধারণত বাণিজ্যিক ফ্লাইট এবং আন্তর্জাতিক রুটে ব্যবহৃত হয়। এটি স্বাভাবিক তাপমাত্রায় কম বাষ্পীভবন করে—ফলে এটি নিরাপদ। পরিবেশের জন্য তুলনামূলক এটি কম ক্ষতিকর। সামরিক জেট বিমানেও এই ধরনের জ্বালানির ভিন্ন সংস্করণ ব্যবহার করা হয়।

আরও পড়ুন: একটানা কতক্ষণ চলার পর বিশ্রাম প্রয়োজন ফ্যানের?

অন্যদিকে, ছোট প্রপেলারচালিত বিমান, প্রশিক্ষণ বিমান বা ব্যক্তিগত বিমানে ব্যবহৃত হয় অ্যাভগ্যাস ১০০এলএল (Avgas 100LL)—যা এক ধরনের উচ্চ অকটেনবিশিষ্ট পেট্রোল। এটি পিস্টন ইঞ্জিনচালিত বিমানের জন্য উপযোগী এবং উচ্চ কার্যক্ষমতা বজায় রাখতে সহায়ক।

বর্তমানে প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে পরিবেশবান্ধব বিকল্প জ্বালানির দিকেও মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। বৈদ্যুতিক বিমান, হাইব্রিড ইঞ্জিন এবং টেকসই বিমান জ্বালানি নিয়ে গবেষণা চলছে। যদিও এই প্রযুক্তিগুলো এখনো পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। তবে ভবিষ্যতে এগুলো প্রচলিত জ্বালানির বিকল্প হয়ে উঠতে পারে।

আপাতত বিশ্বব্যাপী বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে প্রধান জ্বালানি হিসেবে জেট ফুয়েলই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। দীর্ঘদিন ধরে একটি নির্ভরযোগ্য উৎস হিসেবে বিবেচিত এটি।