এনসিপির যুব প্ল্যাটফর্ম ‘জাতীয় যুবশক্তি’র আত্মপ্রকাশ শুক্রবার

সংবাদ সম্মেলন
সংবাদ সম্মেলন © টিডিসি ফটো

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুবসংগঠন ‘জাতীয় যুবশক্তি’র আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ হতে যাচ্ছে। আগামী শুক্রবার রাজধানীর গুলিস্তানে শহীদ আবরার ফাহাদ অ্যাভিনিউতে সংগঠনটি আত্মপ্রকাশ হবে। আজ মঙ্গলবার (১৩) দুপুরে বাংলামোটরে রূপায়ন টাওয়ারে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী এ ঘোষণা দেন। এ সময় যুব উইংয়ের সমন্বয়কারী তারিকুল ইসলাম, এস এম শাহরিয়ার, তুহিন মাহমুদ, নাহিদা বুশরা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, ‘গত ২৮ ফেব্রুয়ারি এনসিপি আত্মপ্রকাশের পর আমরা প্রত্যেক জেলার মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। কীভাবে যুব সংগঠনের আত্মপ্রকাশ করতে পারি, সে বিষয়ে মতামত নিয়েছি। গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি নামে সংগঠন যেভাবে জুলাই অভ্যুত্থানে বড় আকারে নেতৃত্ব দিয়েছে, তেমনি জাতীয় যুবশক্তি বাংলাদেশে একটি নতুন পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারবে।’

আরো পড়ুন: আওয়ামী বয়ান ফিরিয়ে আনার অপচেষ্টা করছে ছাত্রদল-বাম-গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ

তিনি বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে যে পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তা ১০০-১৫০ বছরে একবার আসে। বাংলাদেশে বর্তমানে ৪০ শতাংশ তরুণ। বাংলাদেশের ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে চাইলে এই তরুণ শক্তিকে কাজে লাগানো ছাড়া কোনো উপায় নেই। এই শক্তিকে কাজে লাগাতে হলে তরুণদেরকে সংগঠিত করতে হবে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের একটি বড় কারণ ছিল তরুণদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে তাদের প্রবেশ কম ছিল। তারা মাঠে নেমে এসে এই বৈষম্য ভেঙে দিয়েছে। তরুণদের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তরুণদের নিয়ে আসতে জাতীয় যুবশক্তি কাজ করবে।

এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক (যুব) তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘সাতচল্লিশের ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলন থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধে যুব সমাজ অগ্রভাগে ছিল। প্রবল দেশপ্রেম থাকা সত্ত্বেও তরুণদের অধিকাংশই রাজনীতিতে জড়ানো ঝুঁকিপূর্ণ ও নিষ্ফল মনে করে। তাদের কথা বলার ও শোনার সহজলভ্য ও ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্ম নেই। আমরা চাই স্বাধীন মত প্রকাশ ও নৈতিক আদর্শে উজ্জীবিত যুব সমাজ তাদের কাঙ্ক্ষিত রাজনীতি করতে পারবে।’