রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী নিয়োগ পরীক্ষার সিলেবাস পরিবর্তন হতে পারে

সরকারি কর্ম কমিশন
সরকারি কর্ম কমিশন © ফাইল ছবি

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলীর ১০ম গ্রেডের ৫১৬ পদের নিয়োগ পরীক্ষা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আয়োজন করা হবে। ইতোমধ্যে পরীক্ষার নম্বরবন্টন ও সিলেবাস প্রকাশ করেছে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)। তবে সিলেবাস নিয়ে পরীক্ষার্থীরা আপত্তি তোলায় এটি পরিবর্তন করা হতে পারে।

মঙ্গলবার (১৩ মে) পিএসসির একটি সূত্র দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছে, রেলওয়ের পরীক্ষা এইচএসসির সিলেবাস অনুযায়ী তৈরির কথা ছিল। চাকরিপ্রার্থীরা বিষয়টি আপত্তি তোলায় সিলেবাস পরিবর্তনের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে কমিশন। তবে বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে পিএসসির এক কর্মকর্তা জানান, ‘পরীক্ষার্থীদের দাবি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হচ্ছে। সিলেবাস হয়তো পরিবর্তন করা হবে। বিষয়টি নিয়ে কমিশন চিন্তাভাবনা করছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।’

জানা গেছে, মোট ১০০ নম্বরের ১ ঘণ্টার বাছাই পরীক্ষা এবং ১০০ নম্বরের (৩ ঘণ্টার) লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা ১১ ক্যাটাগরির সব পদকে ৫টি ক্লাস্টারে ভাগ করে এমসিকিউ ও লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ক্লাস্টারগদলো হলো—

ক্লাস্টার A: উপসহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ); ক্লাস্টার B: উপসহকারী প্রকৌশলী (ওয়ে/ওয়ার্কস/এস্টেট); ক্লাস্টার C: উপসহকারী প্রকৌশলী (সিভিল ড্রয়িং/এস্টিমেটর); ক্লাস্টার D: উপসহকারী প্রকৌশলী (সিগন্যাল/টেলিকমিউনিকেশন); ক্লাস্টার E: উপসহকারী প্রকৌশলী (স্টোর/মেকানিক্যাল/ট্রেন এক্সামিনার/ড্রয়িং/মেরিন/ব্রিজ)।

কোনো পরীক্ষার্থী একটি ক্লাস্টারের আওতায় একাধিক পদে আবেদন করলে উক্ত ক্লাস্টারের একটি পরীক্ষাতেই অংশগ্রহণ করবেন। তবে কোনো পরীক্ষার্থী যদি ভিন্ন ভিন্ন ক্লাস্টারের একাধিক পদে আবেদন করে থাকেন, তবে তাকে সংশ্লিষ্ট সব ক্লাস্টারেই পরীক্ষা দিতে হবে।

রেলওয়ের ১০ম গ্রেডের ১১ ক্যাটাগরির ৫১৬টি উপসহকারী প্রকৌশলী পদে নিয়োগের জন্য ২০১৯ ও ২০২৩ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। মোট ১১ ক্যাটাগরির উপসহকারী প্রকৌশলী পদে ৫১৬ জনকে নিয়োগ দিতে প্রকাশ করা হয়েছিল এ বিজ্ঞপ্তি। এরপর গত বছরের ৫ জুলাই বাংলাদেশ রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী পদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সে সময় রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠার পাঁচ মাস পরে গত বছরের ২ ডিসেম্বর সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) রেলওয়ের ১০ম গ্রেডের ১১ ক্যাটাগরির ৫১৬টি উপসহকারী প্রকৌশলী পদের এমসিকিউ পরীক্ষা বাতিল করে।