মধুর ক্যান্টিনে চা-সিঙ্গারা খেয়ে নিজেই মান যাচাই করলেন ঢাবি উপাচার্য

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান এবং শিক্ষকরা মধুর ক্যান্টিনে বসে চা-সিঙ্গারা খাচ্ছেন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান এবং শিক্ষকরা মধুর ক্যান্টিনে বসে চা-সিঙ্গারা খাচ্ছেন © টিডিসি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান খাবারের মান যাচাই করতে নিজেই মধুর ক্যান্টিনে গিয়ে চা-সিঙ্গারা খেয়েছেন। এ ঘটনাকে ব্যতিক্রমী এবং অনেকটা নজিরবিহীন হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে। কারণ, এর আগে কখনো অন্যান্য উপাচার্যের বেলায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। উপাচার্য হওয়ার পর থেকেই তিনি ছদ্মবেশে আবাসিক হল পরিদর্শন এবং শিক্ষার্থীদের সাথে অতি সাধারণভাবে মিশে ও সময় দিয়ে খোঁজ-খবর নেওয়াসহ বিভিন্ন সময়ে এমন ব্যতিক্রমী কর্মকান্ড করে বরাবরই আলোচনায় রয়েছেন এবং শিক্ষার্থীদের মন জয় করে চলছেন।

জানা যায়, সোমবার (১২ মে) বিকেলে আকস্মিক মধুর ক্যান্টিন পরিদর্শনে যান অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। পরে খাবারের মান যাচাইয়ের জন্য তিনি ক্যান্টিনের খাবার খান। এসময় তাকে চা এবং সিঙ্গারা খেতে দেখা যায়। তার সঙ্গে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান উপস্থিত ছিলেন। তারাও চা-সিঙ্গারা খেয়ে উপাচার্যের সঙ্গ দেন।

এর আগে, উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবন সংলগ্ন রাস্তা ও লিফট সংস্কারের কাজ পরিদর্শন করেন।

উল্লেখ্য, গত ৮ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবন ও লেকচার থিয়েটার ভবনের মাঝখানের রাস্তাটির (মধুর ক্যান্টিন পর্যন্ত) সংস্কারের কাজ শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে ৫৬৫ ফুট দৈর্ঘ্য, ২৫.৫ ফুট প্রস্থের রাস্তাটিতে ৪ ইঞ্চি আরসিসি ঢালাই দেয়া হচ্ছে। সংস্কার কাজের জন্য আগামী ২৩ মে পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এই রাস্তায় সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। এদিকে কলা ভবনের লিফট সংস্কারের কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। শিগগিরই লিফট শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেয়া হবে।