বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নিতে পারবেন ইউজিসি সদস্যরা

ইউজিসি
ইউজিসি © ফাইল ছবি

দেশের সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নিতে পারবেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্যরা। দায়িত্বে বিঘ্ন না ঘটিয়ে এবং কমিশনের চেয়ারম্যানের অনুমতি নিয়ে খন্ডকালীন হিসেবে ক্লাস নিতে পারবেন তারা।

যদিও বিষয়টিকে ‘কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট’ বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, ইউজিসির মতো প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নেওয়ার অনুমতি দেওয়া ঠিক হয়নি। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্তে প্রভাব বিস্তার করার সুযোগ তৈরি হবে।

ইউজিসির সাবেক এক সদস্য ও একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘সদস্যদের ক্লাস নেওয়ার বিষয়টি শুনেছি। এটির অনুমোদন দেওয়ার আগে আরও চিন্তাভাবনা করা দরকার ছিল। ইউজিসিতে সদস্য মাত্র পাঁচজন। এই পাঁচজন দেড় শতাধিকের বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন। এত অল্প সংখ্যক সদস্য দিয়ে ইউজিসির কার্যক্রম পরিচালনায় হিমশিম খেতে হয়। ক্লাস নেওয়ার ফলে অনেক কাজ জমা হয়ে যেতে পারে।’

যদিও ইউজিসির বর্তমান সদস্য (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেনের দাবি, ‘ইউজিসির কাজে কোনো বিঘ্ন ঘটানো যাবে না। এই শর্তে ক্লাস নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। কাজে ব্যাঘাত ঘটতে পারে এমন সম্ভাবনা থাকলে ক্লাসের অনুমতি না-ও দেওয়া হতে পারে।’

জানা গেছে, সম্প্রতি ইউজিসির ১৬৮তম পূর্ণ কমিশনের সভায় এ সংক্রান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে কমিশনের চেয়ারম্যান এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের সদস্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নিতে পারবেন না বলে সভার কার্যবিবরণীতে উল্লেখ করা হয়েছে।

পূর্ণ কমিশনের সভায় ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাইদুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ে খন্ডকালীন ক্লাস নেওয়ার বিষয়টি উত্থাপন করেন। সভায় তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথিতযশা শিক্ষাবিদগণকে সরকার চার বছর মেয়াদে কমিশনের চেয়ারম্যান ও পূর্ণকালীন সদস্য হিসেবে নিয়োগ প্রদান করে। যেহেতু তারা ইউজিসির কার্যকাল সম্পন্ন করে শিক্ষকতায় ফিরে যাবেন ও তাদের মূল দায়িত্ব হিসেবে শিক্ষকতা এবং গবেষণার সাথে সম্পৃক্ত থাকতে হবে, সেহেতু তাদের পাঠদান কার্যক্রম হতে বিরত রাখা সমীচীন হবে না।’ বিষয়টির সঙ্গে সভায় উপস্থিত সকল সদস্য অভিন্ন মত ব্যক্ত করেন। 

কার্যবিবরণীতে আরও বলা হয়েছে, ‘কমিশনের চেয়ারম্যান এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য ব্যতীত কমিশনের অন্যান্য পূর্ণকালীন সদস্যগণ কমিশনের কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি না করে দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার অনুমতি প্রদানের বিষয়ে কমিশনের চেয়ারম্যান সদয় বিবেচনা করতে পারেন।’