আন্দোলন করতে গিয়ে চাকরি হারালেন রূপপুর প্রকল্পের ১৮ কর্মকর্তা-কর্মচারী !
- ১২ মে ২০২৫, ১২:৩৩
পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অপসারণের আন্দোলন করতে গিয়ে ১৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। একইসঙ্গে ‘নিরাপত্তার স্বার্থে’ তাদের রূপপুর প্রকল্প ও গ্রিন সিটি বহুতল আবাসিক এলাকায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করে পৃথক চিঠি দেওয়া হয়েছে। রবিবার (১১ মে) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন প্রকল্পের সাইট ইনচার্জ রুহুল কুদ্দুস।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (৮ মে) রূপপুর প্রকল্প পরিচালক ও নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের (এনপিসিবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. জাহেদুল হাসান স্বাক্ষরিত এক দাপ্তরিক আদেশে তাদের অব্যাহতি প্রদানের কথা জানানো হয়।
অব্যাহতি পত্রে বলা হয়, ‘এনপিসিবিএল কোম্পানিতে নিয়োগপ্রাপ্ত এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের সঙ্গে সংযুক্ত ১৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে এনপিসিবিএল এর চাকুরি হতে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী আপনারা নোটিশ পেমেন্ট বাবদ তিনমাসের বেতন ভাতা পাবেন।’
জানা গেছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) অপসারণসহ বিভিন্ন দাবিতে কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গত ২৮ এপ্রিল থেকে আন্দোলন শুরু করেন। মঙ্গলবার (৬ মে) ঈশ্বরদী শহরে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেন তারা। বুধবার (৭ মে) রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের ভেতরে কোম্পানির অফিসে তারা অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।
অব্যাহতির বিষয়ে প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. জাহেদুল হাসান বলেন, ‘চাকরিবিধি না মানায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে কোম্পানির ১৮ জনকে অব্যাহতিপত্র প্রদান করা হয়। এর বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়।’
চাকরি থেকে অব্যাহতি পাওয়া হাশমত আলী নামের এক প্রকৌশলী বলেন, ইতোমধ্যে অব্যাহতি পাওয়ার নোটিশটি পেয়েছি। নোটিশে চাকরিচ্যুতির কারণ সুনির্দিষ্ট করে জানানো হয়নি। কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী আমি প্রকল্পের আবাসিক এলাকা গ্রিন সিটির ভবন ছেড়ে দেওয়ার কাজে ব্যস্ত আছি।
তিনি জানান, চাকরিচ্যুত ১৮ জনের মধ্যে ১৫ জন বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার ও তিনজন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার। আকস্মিক এ বরখাস্তের বিরুদ্ধে আইনগত দিক বিবেচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।