পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রস্তুত জেলেনস্কি, প্রত্যাশা স্থায়ী যুদ্ধবিরতির

পুতিন ও জেলেনস্কি
পুতিন ও জেলেনস্কি © সংগৃহীত

রাশিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে চলা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে তুরস্কে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রস্তুত আছেন বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ইউক্রেনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য কিয়েভ ইন্ডিপেনডেন্ট এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

জেলেনস্কি বলেন, “হত্যাকাণ্ড দীর্ঘায়িত করার কোনো মানে হয় না। আমি বৃহস্পতিবার তুরস্কে পুতিনের জন্য অপেক্ষা করব।”

তিনি আরও জানান, “আমরা আগামীকাল থেকেই একটি পূর্ণাঙ্গ ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রত্যাশা করছি। এই যুদ্ধবিরতি ভবিষ্যতের কূটনৈতিক আলোচনা ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য ভিত্তি তৈরি করবে।”

তুরস্কে এই সম্ভাব্য সম্মেলনকে ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উত্তেজনা ও কৌতূহল তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেলেনস্কির ওপর চাপ সৃষ্টি করেছেন যাতে তিনি পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় বসেন।

ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশাল-এ এক পোস্টে বলেন, “রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন কোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তি চান না, বরং তিনি সরাসরি তুরস্কে সাক্ষাৎ করে এই রক্তক্ষয়ী সংঘাতের ইতি টানতে চান। ইউক্রেনের উচিত এই প্রস্তাবে দ্রুত সাড়া দেওয়া।”

তিনি আরও বলেন, “ইস্তাম্বুলে এই বৈঠকের মাধ্যমে অন্তত উভয় পক্ষ বুঝতে পারবে, কোনো চুক্তির বাস্তব সম্ভাবনা আছে কি না। আর যদি তা না-ও থাকে, তাহলেও ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য পরিষ্কার হবে বর্তমান পরিস্থিতি কী এবং পরবর্তী পদক্ষেপ কী হওয়া উচিত।”

জেলেনস্কি এর আগেও রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা শুরুর পূর্বশর্ত হিসেবে অন্তত ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছিলেন। এ প্রস্তাব তিনি রাখেন গত সোমবার।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “আমার মনে কিছুটা সন্দেহ আছে ইউক্রেন আদৌ চুক্তিতে যেতে চায় কি না। কারণ পুতিন বর্তমানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে রাশিয়ার বিজয় উদযাপন নিয়েই ব্যস্ত—যে যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা ছাড়া বিজয় অসম্ভব হতো। এখনই সময়, সাক্ষাৎ করুন।”

বিশ্লেষকদের মতে, এই সম্ভাব্য বৈঠক যদি সত্যিই অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে তা হতে পারে যুদ্ধ অবসানের পথ তৈরির গুরুত্বপূর্ণ এক মোড়। তবে এর সফলতা নির্ভর করবে উভয় পক্ষের আন্তরিকতা ও আন্তর্জাতিক চাপের ভারসাম্যের ওপর।