গাইবান্ধায় বোরো ধানে বাম্পার ফলন, খুশি কৃষকরা
- ২৯ আগস্ট ২০২৫, ১৬:১৭
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলনে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকা, সময়মতো চাষাবাদ ও কৃষি বিভাগের সঠিক পরামর্শে চলতি বছর উপজেলায় ধান চাষে এসেছে ব্যাপক সাফল্য।
উপজেলার মাঠে মাঠে এখন ধান কাটার ব্যস্ততা। কোথাও কৃষি শ্রমিক, আবার কোথাও সরকারি ভর্তুকিতে পাওয়া কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিনের সাহায্যে চলছে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ। এর মধ্যে অনেক জায়গায় স্কুল-কলেজপড়ুয়া সন্তানদেরও ধান কাটায় অংশ নিতে দেখা যাচ্ছে। শ্রমিক সংকট মোকাবেলায় পরিবারের সদস্যরাই মাঠে নেমে পড়েছেন, একপাশে ধান কাটছেন, অন্যপাশে শুকাচ্ছেন।
সাঘাটার পবনতাইড় গ্রামের কৃষক আবু জাফর জানান, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার বোরো ধানে ফলন অনেক ভালো হয়েছে। আমি ৫ বিঘা জমিতে হাইব্রিড জাতের ধান লাগিয়েছি, প্রতি বিঘায় পেয়েছি ২৫-২৬ মণ ধান।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গিয়ে দেখা গেছে, মাঠে কাজের ব্যস্ততা যেন এক ধরনের উৎসবের আমেজ এনে দিয়েছে। কৃষি কর্মকর্তারাও থেমে নেই। তারা নিয়মিত মাঠে গিয়ে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন, উৎসাহ দিচ্ছেন—ফলে আস্থা বেড়েছে কৃষকদের মাঝে।
সাঘাটা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে মোট ১৪ হাজার ১৮৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ৫৭ হেক্টরে স্থানীয় জাত, ৬ হাজার ২৮৮ হেক্টরে হাইব্রিড এবং ৭ হাজার ৮৪০ হেক্টরে উফসী জাতের ধান আবাদ হয়েছে।
উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ খালেদ মাহমুদ বলেন, “মাঠ পর্যায়ে আমাদের কৃষি কর্মকর্তারা নিয়মিত কৃষকদের সঙ্গে থেকে সঠিক সময়মতো পরামর্শ দিয়েছেন। আবহাওয়াও ছিল একদম অনুকূলে। সব মিলিয়ে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। আমরা আশা করছি লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি উৎপাদন হবে।”
তিনি আরও জানান, এপ্রিলের ৭-৮ তারিখ থেকে উফসী জাতের ধান কাটা শুরু হয়েছে। আজ থেকে শুরু হয়েছে হাইব্রিড জাতের ধান কাটা।