যে কারণে মোদিকে যুদ্ধ বন্ধে চাপ দেয় যুক্তরাষ্ট্র
- ১৬ মে ২০২৫, ০২:২৭
সপ্তাহ খানেকের বেশি উত্তেজনার পর ভারত ও পাকিস্তানের মাঝে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ আলোচনার পর এ বিষয়টির সুরাহা হয়। ৪৮ ঘণ্টা ধরে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের প্রচেষ্টায় এই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তবে পরমাণু শক্তিধর ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতি নিয়ে সামনে এসেছে নতুন তথ্য। মূলত ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে ভীতিকর তথা উদ্বেগজনক গোয়েন্দা তথ্য পাওয়া গেছে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
মার্কিন প্রশাসনের একটি কেন্দ্রীয় দল ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মার্কো রুবিও এবং হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ সুজি ওয়াইলস ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান সংঘাত ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছিলেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পর্দার আড়ালে কী হচ্ছে, ভ্যান্স সেই পরিকল্পনা সম্পর্কে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অবহিত করেন। হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তাদের অশনি সংকেতের পর মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি আলোচনা শুরু করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন : যেসব শর্তে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র স্বীকৃতি দেবেন ট্রাম্প
প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাতের মধ্যেই গত শুক্রবার সকালে যুক্তরাষ্ট্র এমন কিছু গোয়েন্দা তথ্য পায়, যা পরিস্থিতিকে বিপজ্জনক বলে ইঙ্গিত দেয়।
সিএনএন বলছে, ওই তথ্যের ভিত্তিতে ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্যান্স প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পুরো পরিকল্পনার ব্যাপারে অবহিত করেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবার দুপুরে তিনি (জেডি ভ্যান্স) সরাসরি নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করেন।
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্যান্স ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে স্পষ্ট করে বলেন, হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তাদের মতে, এই সংঘাত আরও মারাত্মক রূপ নিতে পারে এবং সপ্তাহান্তে বড় ধরনের সংঘাত হতে পারে। ভ্যান্স মোদিকে উৎসাহিত করে বলেন, ভারত যেন সরাসরি পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং উত্তেজনা কমানোর বিভিন্ন পথ বিবেচনা করে।
আরও পড়ুন : আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে সোমবার প্রজ্ঞাপন জারি
হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুদ্ধবিরতির কোনো চুক্তি খসড়ায় যুক্ত ছিল না। তাদের ভূমিকা ছিল কেবল দুই পক্ষকে আলোচনায় ফিরিয়ে আনা।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের করা ফোনটি ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। প্রশাসন সূত্র জানায়, ভ্যান্স গত মাসে ভারত সফরে গিয়ে মোদির সঙ্গে সরাসরি বৈঠক করেছিলেন। ট্রাম্প প্রশাসনের বিশ্বাস ছিল, ভ্যান্স ও মোদির ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণে ফোনালাপটি আরও কার্যকর হবে।