ইবিতে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা

রংতুলিতে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ

শিশুদের চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান
শিশুদের চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান © টিডিসি ফটো

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে বুধবার সকাল ১১টায় বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিযোগিতায় প্রাকৃতিক বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ের উপর চিত্রাঙ্কন করে ইবি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন স্কুল থেকে আসা কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। পরে স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে তিনটি ক্যাটাগরিতে রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

বুধবার সকালে এসব প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিশ্বদ্যিালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ আসকারী। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপ-উপচার্য অধ্যাপক ড. এম শাহিনুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা, রেজিস্টার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মণ, ইবি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালক অধ্যাপক ড. মেহের আলী, প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) সহযোগি অধ্যাপক ড. আনিছুর রহমান প্রমুখ।

প্রতিযোগিতার উদ্বোধনকালে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য বলেন, জাতির পিতা শিশুদের ভালোবাসতেন। তিনি ভালোবেসে দেশের জন্য জীবন দিয়ে গেছেন। এ জন্য আমাদের তাকে ভালোবাসতে হবে এবং তার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হবে। তোমরা বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুর যে চিত্র খাতায় আঁকছ তা তোমাদের মনে আঁকতে হবে এবং হৃদয়ে ধারণ করতে হবে।’

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে তিন শাখায় এ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ‘ক’ শাখায় শিশু শ্রেণি থেকে ২য় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ‘গ্রাম বাংলার প্রাকৃতিক দৃশ্য’, ‘খ’ শাখায় ৩য় শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ‘নদী মাতৃক বাংলাদেশ’ এবং ‘গ’ শাখায় ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ’ বিষয়ের উপর চিত্রাঙ্কন করে।

উল্লেখ্য, আগামী ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ করা হবে। ওই দিন আনন্দ র‌্যালী, ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন ও কেক কাটার মধ্যদিয়ে দিবসটি উদযাপন করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।