১০ম গ্রেডে প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের বেতন: হাইকোর্ট

হাইকোর্ট
হাইকোর্ট © ফাইল ছবি

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে জাতীয় বেতন স্কেলে দশম গ্রেড দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে গেজেটেড পদমর্যাদা দেয়াারও নির্দেশ প্রদান করা হয়। সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

বর্তমানে সরকার প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল নির্ধারণ করে প্রবেশ পদে ১১তম গ্রেড (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত) ও ১২তম গ্রেড (প্রশিক্ষণবিহীন)। অথচ নন-ক্যাডার দ্বিতীয় শ্রেণির পদে অন্যান্য মন্ত্রণালয় বা বিভাগে দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তারা জাতীয় বেতন স্কেলের ১০ম গ্রেডে বেতন পান।

পরে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ঢাকার গেন্ডারিয়ার মহিলা সমিতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি রিয়াজ পারভেজসহ ৪৫ জন হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।

ওই রিটের শুনানি নিয়ে গত বছরের ৫ মার্চ রুল জারি করেন আদালত। সেই রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে আজ সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। রায়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেলের ১০ম গ্রেডসহ গেজেটেড পদমর্যাদা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। হাইকোর্টের বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন দোলন।

রায় ঘোষণার পর আইনজীবী সালাউদ্দিন দোলন সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৪ সালের ৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করেন এবং একই দিনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে।

এ রায়ের ফলে প্রাথমিকের ৬৫ হাজার ৫৯ জন প্রধান শিক্ষকের ভাগ্য ফেরার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সারাদেশে ৬৫ হাজার ৫৯ জন প্রধান শিক্ষকের পদ রয়েছে এবং ৫০ হাজারের কাছাকাছি পদের প্রধান শিক্ষক রয়েছেন। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন উভয় ধরনের প্রধান শিক্ষকদের জন্য ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে এ আদেশ কার্যকর করার জন্য বলা হয়েছে।

এছাড়া প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন উভয় প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেড পদ মর্যাদা ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে আদেশ কার্যকর করতে বলা হয়েছে।