আ.লীগ নিষিদ্ধকরণে আইনের ব্যাখ্যা দিলেন আসিফ নজরুল

 ড. আসিফ নজরুল
ড. আসিফ নজরুল © সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণের বিষয়ে ছাত্র উপদেষ্টাদের বা অন্য কাউকে দোষারোপ করা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। এ সময় তিনি বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিদেশ গমনের বিষয়টি আইন মন্ত্রণালয়ের দেখার দায়িত্ব নয়।

শুক্রবার (৯ মে) ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে এক পোস্টে তিনি এসব বিষয় উল্লেখ করে একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস দেন।

স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘আমার বিরুদ্ধে কিছু মানুষ জঘন্য মিথ্যোচার ও আক্রমণাত্নক বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করছে। আমি আপনাদের সুস্পষ্টভাবে জানাতে চাই খুনের মামলার আসামি সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিদেশ গমনে বাধা দেয়ার দায়িত্ব পুলিশ ও গোয়েন্দা এজেন্সিগুলোর, যা কোনোভাবেই আমার আইন মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারভুক্ত বিষয় নয়। আমার মন্ত্রণালয়ের অধীনে আছেন নিম্ন আদালতের বিচারকরা। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, আদালতের বিচারকদের দায়িত্ব বিমানবন্দর পাহারা দেওয়া না বা কারো চলাচলে বাধা দেওয়া না।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণের সুযোগ রাখার লক্ষ্যে আইসিটি আইনে সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার বিধান আইন মন্ত্রণালয়ের খসড়ায় ছিল। আইন উপদেষ্টা হিসেবে আমি নিজে এটা উপদেষ্টা পরিষদের সভায় উত্থাপন করেছি। আমার উত্থাপিত খসড়ার আমিই বিরোধিতা করব, এটা কিভাবে সম্ভব?’

দোষারোপ না করার আহ্বান জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদের সভায় কোন উপদেষ্টা কী ভূমিকা রেখেছেন, এ নিয়ে আমাকে, ছাত্র উপদেষ্টাদের বা অন্য কাউকে দোষারোপ করা থেকে বিরত থাকুন। সেখানে যা সিদ্ধান্ত হয় তার দায়দায়িত্ব আমাদের প্রতিটি উপদেষ্টার। আমাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রশ্নে কোনো দ্বিমত নেই। তবে পদ্ধতি নিয়ে সবার নিজস্ব মত থাকতেই পারে।’

আইন সংশোধনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের এটা মনে রাখা প্রয়োজন যে আইসিটি আইন চাইলেই আমরা কয়েক দিনের মধ্যে সংশোধন করতে পারব। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার জন্য সন্ত্রাস দমন আইনসহ অন্য আইনগুলোও আছে। কাজেই আইন কোন সমস্যা না। রাজনৈতিক দলগুলো আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধকরণ চাইলে বা বিচারিক আদালত এ সম্পর্কে কোন পর্যবেক্ষণ বা রায় আসলে অবশ্যই আইনানুগভাবে দ্রুত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা যাবে। আমরা সেই প্রত্যাশায় আছি। ইনশাল্লাহ্।’