এই ৭টি গাছের গুণে শরীর থাকবে ফিট, জানুন কীভাবে
- ১৮ জুন ২০২৫, ২০:০১
বিশ্বের নানা প্রান্তে গাছপালা, তরুলতা, ও গুল্ম হাজার হাজার বছর ধরে ঔষধি গুণে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এই গাছগুলোর রাসায়নিক যৌগিক ফাইকেমিক্যাল এবং জীবতাত্ত্বিক গুণ বিজ্ঞানীরা শনাক্ত করেছেন, এবং আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানে সেগুলি ব্যবহার করা হচ্ছে। আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা জানবো এমন ৭টি ঔষধি গাছের সম্পর্কে, যেগুলি রান্নাবান্নার পাশাপাশি স্বাস্থ্যরক্ষায়ও কার্যকর।
রোজমেরি
রোজমেরি পৃথিবীজুড়ে জনপ্রিয় একটি সুগন্ধি ও ঔষধি গাছ। এতে থাকা কেফিক ও রোজমেরিনিক অ্যাসিডের মতো যৌগগুলি একে শক্তিশালী স্বাস্থ্যগুণসম্পন্ন গাছ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এটি স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে এবং মনোযোগ উন্নত করতে সাহায্য করে। রোজমেরি তেল রক্তসংবহন বৃদ্ধি করতে কার্যকর এবং ত্বকের অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতি থেকেও রক্ষা করে।
লেমন বাম
লেমন বাম মেনট পরিবারের একটি গুল্ম, যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রদাহরোধী গুণে সমৃদ্ধ। এটি স্নায়ুর জন্য আরামদায়ক, চাপ এবং দুশ্চিন্তা কমাতে সাহায্য করে। এর মধ্যে রয়েছে মিট্রল ও মিট্রনেলাল নামক তেল, যা ঠান্ডা ক্ষত সেরে উঠতে সহায়ক।
চ্যামোমিলে
চ্যামোমিলের ফুলের মধ্যে থাকা টার্পেনডেস ও ফ্ল্যাডোনয়েডস প্রদাহরোধী গুণে সমৃদ্ধ। এটি পাকস্থলীর অম্ল কমিয়ে দিয়ে হজমের সমস্যা সমাধান করতে সাহায্য করে। চ্যামোমিলের এসেনশিয়াল তেল অ্যারোমাথেরাপিতে ব্যবহৃত হয়, যা ত্বককে সুরক্ষিত রাখে এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
হলুদ
হলুদ, বিশেষত এর কার্যকরী উপকরণ ‘কারকুমিন’ প্রদাহরোধী ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণে সমৃদ্ধ। এটি আথ্রাইটিস, সোরাইসিস, ও অন্যান্য ত্বক সমস্যা সমাধানে সহায়তা করে। হলুদ হৃদ্রোগ এবং আলঝেইমার রোগের প্রতিরোধে সহায়ক এবং রান্নায় ব্যবহৃত হলে এর গুণ আরও বাড়ে।
আদা
আদার প্রধান উপাদান ‘জিনজেরল’ প্রদাহ, সংক্রমণ এবং আথ্রাইটিসে কার্যকর। আদা ঠান্ডা-সর্দি উপশমে চমৎকার এবং পেটফাঁপা ও কোষ্ঠবদ্ধতা কমাতে সাহায্য করে। এর এনজাইমগুলো পেটের চলন বাড়াতে কার্যকরী।
সেজ গাছ
সেজ গাছের পাতায় রয়েছে জীবাণু প্রতিরোধী গুণ। এটি বিশেষত ক্রনিক রোগের জন্য উপকারী। সেজের পাতার ধোঁয়া বাতাস বিশুদ্ধ করার জন্য ব্যবহৃত হয় এবং খাবারের স্বাদ বাড়ানোর জন্যও এটি ব্যবহৃত হয়।
পেপারমিন্ট
পেপারমিন্টে থাকা মেনথল শীতল অনুভূতি দেয় এবং ত্বকে বা মুখে ব্যবহৃত হলে আরাম দেয়। এটি কফ, কাশি ও শ্বাসকষ্টের সমস্যায় সাহায্য করে। পেপারমিন্ট তেল অ্যালার্জি কমাতে সাহায্য করে এবং চুলে আর্দ্রতা প্রদান করে।
এই ঔষধি গাছগুলি শুধু রান্নায় স্বাদ বাড়ায় না, বরং আমাদের শরীরের স্বাস্থ্যেও অসংখ্য উপকারে আসে। এগুলির ঔষধি গুণ আজকাল আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানে ব্যাপকভাবে ব্যবহার হচ্ছে, যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।