চবির সমাবর্তনে বৃদ্ধ, শিশুদের না আনার পরামর্শ প্রশাসনের

সংবাদ সম্মেলন
সংবাদ সম্মেলন © টিডিসি ফটো

দীর্ঘ নয় বছর পর আগামী ১৪ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠান। এতে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধান উপদেষ্টা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তবে, সমাবর্তনে বৃদ্ধ মা-বাবা বা দুধের শিশুদের সাথে না আনার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 

আজ বৃহস্পতিবার (৮ মে) বিকেল ৫টায় উপ-উপাচার্যের (প্রশাসন) সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানিয়েছেন সমাবর্তন কমিটির সদস্য সচিব ও ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. এনায়েত উল্ল্যা পাটওয়ারী। 

তিনি বলেন, সমাবর্তনের দিন আমাদের পরামর্শ থাকবে বৃদ্ধ মা-বাবা কিংবা দুধের শিশুদের আপনারা সাথে আনবেন না। কেননা ওইদিন সমাবর্তী হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ২২ হাজার ৬০০ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা শিক্ষার্থী। এছাড়া তাদের সাথে তাদের পরিবারের সদস্যরাও আসবেন। এতে করে ওইদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় লক্ষাধিক লোকের সমাগম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এক্ষেত্রে প্রশাসনের পক্ষে তো আর সবার জন্য খাবার দেওয়া সম্ভব নয়। তবে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের হোটেলগুলো খোলা রাখার জন্য বলেছি। এছাড়া যেকেউ অস্থায়ী খাবারের দোকান দিতে পারবেন। তবে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের নির্দেশনা রয়েছে দুপুর ১২টার মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা যে রাস্তা দিয়ে আসবেন সেখানের দোকানগুলো বন্ধ রাখতে হবে। 

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সময় ৩০ হাজার মানুষের মতো সমাগম হয়, এতেই রাস্তাগুলোতে কয়েকঘন্টার যানজট লেগে থাকে। আর এখানে লক্ষাধিক লোকের সমাগম হচ্ছে। তার উপর আবার এখন তীব্র গরম। তাই আমি আমাদের সমাবর্তীদের বিশেষভাবে বলবো এসব দিক বিবেচনা করে আপনারা আপনাদের বৃদ্ধ- পিতা-মাতা এবং ছোট শিশুদের সাথে আনবেন না। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠান স্থলে ইমার্জেন্সি ফুড আইটেম রাখার পরিকল্পনা করেছি তবে সেটা সীমিত। 

এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে আরও কিছু নির্দেশনার কথা বলেছেন আয়োজকরা। দুপুর ১টার পর কোনো সমাবর্তীকে অনুষ্ঠানে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। ব্যক্তিগত গাড়ি সাথে আনলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১নং গেইটের ওদিকে রাখতে হবে। সমাবর্তন বিষয়ক যাবতীয় তথ্য সমাবর্তনের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। 

আরো পড়ুন: ‘ভুলে’ ভাইভাতে অংশ না নেওয়া মারজিয়ার যেভাবে ঢাবিতে ভর্তির সুযোগ

বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থীরা সমাবর্তনের মঞ্চে যেতে পারবেন না। তবে তাদের জন্য বড় পর্দায় লাইভ সম্প্রচারের ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছের প্রশাসন। জানা গেছে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর সমাবর্তন হয়েছে মাত্র চারটি। সবশেষ ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত হয় চতুর্থ সমাবর্তন। তাই এ সমাবর্তনকে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলের মধ্যে একটি উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছে।

এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সমাবর্তনের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. মু. জাফর উল্লাহ তালুকদার সদস্য সচিব ড. মো. শহীদুল হক, সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ শফিউর রহমান চৌধুরী।