পাক-ভারত হামলায় চীন-তুরস্কের বিবৃতি— কে কার পাশে দাঁড়াল?

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার ও  তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার ও তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান © সংগৃহীত

পাকিস্তান ও পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরে ভারতের আক্রমণকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে চীন। উভয় পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে প্রতিবেশী দেশটি। খবর আল জাজিরার।

অন্যদিকে পাকিস্তানে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর হামলার পর প্রথম দেশ হিসেবে ইসলামাবাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে তুরস্ক।

বুধবার (৭ মে) সকালে এক্সে একাউন্টে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ভারতের বিনা উসকানিতে পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন এবং নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার ঘটনার বিরুদ্ধে ইসলামাবাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘অবনতিশীল আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন হাকান ফিদান। উভয় পক্ষ ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতির ওপর ঘনিষ্ঠ সমন্বয় বজায় রাখতে সম্মত হয়েছেন।’

বুধবার সকালে এক বিবৃতিতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘আজ সকালে পাকিস্তান ও পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরে ভারতের সামরিক অভিযান দুঃখজনক ঘটনা। চলমান এই পরিস্থিতি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।’

ভারত ও পাকিস্তান সব সময় একে অপরের প্রতিবেশী, এটা মনে করিয়ে দিয়ে মুখপাত্র বলেন, তারা উভয়ই চীনের প্রতিবেশী। চীন সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরোধিতা করে। আমরা উভয় পক্ষকে শান্তি ও স্থিতিশীলতার বৃহত্তর স্বার্থে কাজ করার, শান্ত থাকার, সংযত থাকার এবং পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলতে পারে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’

কাশ্মীরে হামলা নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তানের ছয়টি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। এসব হামলায় অন্তত ৮ জন নিহত এবং ৩৫ জন আহত হয়েছেন। এর জবাবে রাতেই পাল্টা হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান।

পাকিস্তান সেনাবাহিনী দাবি করে বলেছে, তারা হামলায় অংশ নেওয়া ভারতের পাঁচটি জঙ্গি বিমান ভূপাতিত করেছে। কাশ্মীরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি ব্রিগেডের সদর দপ্তর ও তল্লাশিচৌকিও গুঁড়িয় দেওয়ার দাবি করেছে তারা।

ভারতের সেনাবাহিনী বলেছে, কাশ্মীরে পাকিস্তানি সেনাদের ছোড়া গোলার আঘাতে তিনজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।

ভারতের এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে ‘কাপুরুষোচিত’ আখ্যায়িত করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এর সমুচিত জবাব দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।