সীমান্তে ‘সাদা পতাকা’ উড়িয়েছে ভারতীয় সেনা, দাবি পাকিস্তানের
- ২১ জুন ২০২৫, ১৪:১০
কাশ্মির সীমান্তে উত্তেজনা চরমে উঠেছে। ভারতের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে পাল্টা হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। এই পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) ঘিরে নতুন করে সংঘাতের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর মধ্যেই সীমান্তে ভারতীয় সেনাবাহিনী ‘সাদা পতাকা’ উত্তোলন করেছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তান।
আজ বুধবার (৭ মে) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। আল জাজিরা জানায়, পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ভারতীয় সেনারা কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণরেখায় তাদের একটি সামরিক চৌকিতে সাদা পতাকা উড়িয়েছে। সাধারণত আত্মসমর্পণের প্রতীক হিসেবেই এই পতাকা প্রদর্শন করা হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর জরুরি নিরাপত্তা বৈঠকের ডাক পাকিস্তানের
পাকিস্তান সরকারের অফিসিয়াল এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট থেকে এই দাবি করা হয়েছে। একই দাবির পুনরাবৃত্তি করেছেন দেশটির তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার। এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, প্রথমে তারা (হামলার) তদন্ত থেকে পালিয়েছিল, এখন তারা যুদ্ধের ময়দান থেকেও পালিয়ে গেছে।

তবে আল জাজিরা জানিয়েছে, পাকিস্তানের এই দাবি তারা স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি।
এদিকে ভারতীয় হামলার পর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান পাঁচটি যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মিডিয়া উইং আইএসপিআর-এর মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী। তিনি জানান, সমস্ত বিমান পাকিস্তানের আকাশসীমাতেই গুলি করে নামানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তান-ভারতের পাল্টাপাল্টি হামলা, কোন দেশের কতজন মারা গেলেন?
আহমেদ শরীফ আরও বলেন, কাশ্মির সীমান্ত বরাবর এখন তীব্র গোলাগুলি চলছে। পাকিস্তান বিমান বাহিনীর সব বিমান সম্পূর্ণ নিরাপদ রয়েছে বলেও তিনি আশ্বস্ত করেছেন।
পাকিস্তানের নিরাপত্তা সূত্রগুলোর বরাতে জিও নিউজ জানায়, গুলি করে নামানো ভারতীয় যুদ্ধবিমানগুলোর মধ্যে রয়েছে তিনটি রাফাল, একটি মিগ-২৯ এবং একটি এসইউ-৩০ মডেলের ফাইটার জেট।
অন্যদিকে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফও ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সীমান্তে ভারতের আগ্রাসনের জবাবে পাকিস্তান বিমান বাহিনী কমপক্ষে পাঁচটি যুদ্ধবিমান গুলি করে নামিয়েছে। সেই সঙ্গে কয়েকজন ভারতীয় সেনাকে আটক করে যুদ্ধবন্দি হিসেবে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: পারমাণবিক অস্ত্রে এগিয়ে পাকিস্তান, সেনা-নৌ-বিমান বাহিনীতে কার কত অস্ত্র?
খাজা আসিফ আরও বলেন, ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি ব্রিগেড সদরদপ্তরেও হামলা চালানো হয়েছে। ভারতীয় যুদ্ধবিমানগুলোকে সরাসরি লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে জবাব দেওয়া হয়েছে।
দুই দেশের মধ্যে বাড়তে থাকা এই উত্তেজনা দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তাব্যবস্থাকে নতুন করে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজর এখন সীমান্তের দিকে।