শত কোটি টাকার দুই আন্তর্জাতিক প্রকল্পে নেতৃত্ব দেবে ঢাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল ও লগো
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল ও লগো © ফাইল ছবি

প্রায় ১০০ কোটি টাকার দুইটি আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রকল্পে নেতৃত্ব দেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। এই প্রকল্পগুলোতে অর্থায়ন করবে জাপান সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি এজেন্সি (জেএসটি) ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। সম্প্রতি জেএসটি পরিচালিত সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি রিসার্চ পার্টনারশিপ ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের অধীনে ২০২৫ অর্থবছরে এই দুইটি আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রকল্পের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইটি বিভাগ নির্বাচিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (৬ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, পরিবেশ ও শক্তি, জৈব সম্পদ, দুর্যোগ প্রতিরোধ এবং প্রশমন এ তিনটি ক্ষেত্রে জেএসটি বিশ্বব্যাপী গবেষকদের কাছ থেকে প্রকল্পের প্রস্তাব আহ্বান করে।

প্রকল্পের প্রস্তাব জমা দেয়ার শেষ তারিখ ছিল ২০২৪ সালের ২১শে অক্টোবর পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে বিভিন্ন দেশের মোট ৮০টি প্রকল্প প্রস্তাব জমা পড়ে। সেখান থেকে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত স্ক্রিনিং কমিটি পর্যালোচনা করে ১০টি নতুন প্রকল্প নির্বাচিত করে। যার মধ্যে বাংলাদেশের দুইটি প্রকল্প নির্বাচিত হয়েছে এবং দুইটি প্রকল্পেরই নেতৃত্ব দেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

প্রকল্পগুলো হলো-

১) দুর্যোগ প্রতিরোধ ও প্রশমন বিভাগের আওতাধীন প্রকল্প ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে প্লাবন পূর্বাভাসের উন্নতির মাধ্যমে বন্যা সহনশীল সমাজ গড়ে তোলা।’এই প্রকল্পে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপার্সন ড. ফাতিমা আক্তার বাংলাদেশ অংশের প্রধান গবেষক (পিআই) হিসেবে নেতৃত্ব দেবেন। প্রকল্পে জাপান অংশের প্রধান গবেষক (পিআই) হিসেবে থাকবেন কাগাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব এডুকেশনের অধ্যাপক ড. তরু তেরাও। ৫০০ মিলিয়ন ইয়েনের (জাপানি মুদ্রা) এই প্রকল্প জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে দুর্যোগ প্রতিরোধমূলক কৌশল উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। এই প্রকল্পের মেয়াদ পাঁচ বছর।

২) পরিবেশ ও শক্তি বিভাগের আওতাধীন প্রকল্প ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় পানির গুণগত মান তদারকি এবং বিশুদ্ধকরণ টেকনোলজি’। এই প্রকল্পের মেয়াদও পাঁচ বছর। ৫০০ মিলিয়ন ইয়েনের (জাপানি মুদ্রা) প্রকল্পটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বাংলাদেশ অংশের প্রধান গবেষক (পিআই) হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। জাপানের এহিম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কোজো ওতানবি প্রকল্পের জাপান অংশের প্রধান গবেষক (পিআই) হিসেবে থাকবেন।

জানা গেছে, প্রকল্পগুলো ২০২৬ সালের এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ২০৩১ সালের মার্চ পর্যন্ত চলবে। তবে ২০২৫ সালের মে মাস থেকে ২০২৬ সালের মার্চ পর্যন্ত প্রকল্পগুলো প্রবেশনারি পিরিয়ড হিসেবে থাকবে।

আরও পড়ুন: বাজেট বৈষম্য দূরীকরণসহ ৪ দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

সম্প্রতি প্রকল্পের গবেষকরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, জাপান আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। এই বন্ধুত্ব রাজনীতির ঊর্ধ্বে। প্রকল্পগুলো দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সরাসরি প্রভাব ফেলবে। এতে মানুষ উপকৃত হবে। এই ধরনের প্রকল্পগুলোকে দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই করতে চাই আমরা। এক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সব ধরনের সহায়তা করতে প্রস্তুত আছে।