অ্যাপলকে হটিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে দামি কোম্পানি মাইক্রোসফট

মাইক্রোসফট
মাইক্রোসফট © সংগৃহীত

অ্যাপলকে হটিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে দামি কোম্পানির শীর্ষস্থান দখল করল মাইক্রোসফট। চলতি বছরে একাধিক অর্থনৈতিক ও ভৌগোলিক চাপের মুখে অ্যাপলের শেয়ারদর কমে যাওয়ায় এই স্থানচ্যুতি ঘটে। সে সুযোগে ঘুরে দাঁড়াল প্রযুক্তি জায়ান্ট মাইক্রোসফট।

সিএনবিসি জানায়, এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে টানা চার দিনে অ্যাপলের শেয়ারমূল্য ২৩ শতাংশ কমে বাজারমূল্য নেমে আসে ২ দশমিক ৫৯ ট্রিলিয়ন ডলারে। এ সময় মাইক্রোসফটের বাজারমূল্য ছিল ২ দশমিক ৬৪ ট্রিলিয়ন ডলার। গত শুক্রবার পর্যন্ত অ্যাপল ও মাইক্রোসফটের বাজারমূল্য দাঁড়ায় যথাক্রমে ৩ দশমিক শূন্য ৭ ও ৩ দশমিক ২৩ ট্রিলিয়ন ডলার। ফলে মার্কিন জায়ান্টটি এখন বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানি।

প্রতিবেদন বলছে, শতাধিক দেশের ওপর আরোপিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতির কারণে বিশ্ববাজারে বড় ধাক্কা লেগেছে। মূল্যবৃদ্ধির শঙ্কা ও সম্ভাব্য মন্দার আশঙ্কায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এর মধ্যে অ্যাপল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কারণ তাদের উৎপাদন অনেকটাই চীনের ওপর নির্ভরশীল।

আরও পড়ুন: ৯ মাসে অন্তত পাঁচবার হামলার শিকার হাসনাত

এর আগে ২০২৪ সালের শুরুতে অ্যাপল, মাইক্রোসফট ও চিপ নির্মাতা এনভিডিয়ার বাজারমূল্য ছিল ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের ওপরে। তবে সাম্প্রতিক বিক্রির চাপে অ্যাপল পিছিয়ে পড়ে। যদিও জানুয়ারিতে মাইক্রোসফট দুর্বল আয়ের পূর্বাভাস দিয়েছিল, তবে কোম্পানিটি শুল্ক অনিশ্চয়তা থেকে তুলনামূলক বেশি সুরক্ষিত বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

এদিকে প্রযুক্তি খাতে নানা অস্থিরতা সত্ত্বেও চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ৭ হাজার কোটি ডলারের বেশি আয় করেছে মাইক্রোসফট। কোম্পানির সাম্প্রতিক প্রকাশিত আয়ের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত প্রান্তিকে মাইক্রোসফটের নিট মুনাফা ছিল প্রায় আড়াই হাজার কোটি ডলার, যা শেয়ারপ্রতি দাঁড়ায় ৩ ডলার ৪৬ সেন্ট। এ সময় কোম্পানির আয় বিশ্লেষকদের পূর্বাভাস ও প্রত্যাশার চেয়েও বেশি হয়েছে।

মাইক্রোসফট এর আগে ২০২৪ সালের শুরুতে অল্প সময়ের জন্য সবচেয়ে দামি কোম্পানির তালিকায় শীর্ষে উঠেছিল, তবে অ্যাপল দ্রুত তা পুনরুদ্ধার করে।

আরও পড়ুন: ববি উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী (সিইও) সত্য নাদেলা জানান, গত প্রান্তিকে কোম্পানির শক্তিশালী আয়ের পেছনে মূল ভূমিকা রেখেছে ক্লাউড ব্যবসার প্রবৃদ্ধি। এ খাতে মাইক্রোসফটের আয় হয়েছে ২ হাজার ৬৮০ কোটি ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ২১ শতাংশ বেশি। এ ছাড়া জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকের আয় বিশ্লেষকদের প্রত্যাশিত ২ হাজার ৬১৭ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।