খালেদা জিয়া ও জোবাইদার প্রত্যাবর্তনে আজ ঢাকার ১০ স্থানে বিএনপি নেতাকর্মীদের অবস্থান

সংবাদ সম্মেলনে জানান রুহুল কবীর রিজভী
সংবাদ সম্মেলনে জানান রুহুল কবীর রিজভী © সংগৃহীত

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং তার পুত্রবধূ জোবাইদা রহমানের প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে সোমবার (৫ মে) রাজধানী ঢাকার অন্তত ১০টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থান নেবেন বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে খালেদা জিয়া বাংলাদেশে ফিরবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে সুশৃঙ্খলভাবে নেতাকর্মীদের অবস্থান নিশ্চিত করা হয়েছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বিমানবন্দর ও খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবনে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। নেতাকর্মীদের জাতীয় ও দলীয় পতাকা হাতে রাস্তার এক পাশে দাঁড়িয়ে অভ্যর্থনা জানাতে বলা হয়েছে। মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা ও হেঁটে এগোনো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

নির্ধারিত অবস্থানসূচি অনুযায়ী—মহানগর উত্তর বিএনপি অবস্থান নিয়েছে বিমানবন্দর থেকে লা মেরিডিয়ান হোটেল পর্যন্ত। ছাত্রদল অবস্থান নিয়েছে লা মেরিডিয়ান হোটেল থেকে খিলক্ষেত পর্যন্ত। যুবদল রয়েছে খিলক্ষেত থেকে হোটেল রেডিশন পর্যন্ত। মহানগর দক্ষিণ বিএনপি রেডিশন থেকে আর্মি স্টেডিয়াম পর্যন্ত অবস্থান নিয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক দল আছে আর্মি স্টেডিয়াম থেকে বনানী কবরস্থান পর্যন্ত। কৃষক দল রয়েছে বনানী কবরস্থান থেকে কাকলী মোড় পর্যন্ত। শ্রমিক দল কাকলী মোড় থেকে বনানী শেরাটন হোটেল পর্যন্ত অবস্থান নিয়েছে। ওলামা দল, তাঁতী দল, জাসাস ও মৎস্যজীবী দল রয়েছে শেরাটন হোটেল থেকে বনানী কাঁচাবাজার পর্যন্ত। মুক্তিযোদ্ধা দল ও পেশাজীবী সংগঠনসমূহ অবস্থান নিয়েছে বনানী কাঁচাবাজার থেকে গুলশান-২ পর্যন্ত। মহিলা দল এবং জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দ গুলশান-২ গোলচত্তর থেকে গুলশান এভিনিউ রোড পর্যন্ত অবস্থান নিয়েছে।

এছাড়া রাজধানী ও বাইরের জেলা থেকে আগত নেতাকর্মীরা যার যার সুবিধামতস্থানে দাঁড়িয়ে দলের নির্দেশনা অনুযায়ী অভ্যর্থনায় অংশ নিচ্ছেন। দলটির পক্ষ থেকে নেতাকর্মীদের প্রতি শান্তিপূর্ণভাবে দাঁড়িয়ে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে।