‘আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষাব্যবস্থা মূল থেকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে’

প্রফেসর মিঞা মোহাম্মদ নুরুল হক
প্রফেসর মিঞা মোহাম্মদ নুরুল হক © টিডিসি

বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মিঞা মোহাম্মদ নুরুল হক বলেছেন, “গত কয়েক বছরে আলিয়া মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থাকে একেবারে প্রান্তিক অবস্থানে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। চাকরির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা যথাযথ মূল্যায়ন পাচ্ছে না। ফলে অনেকেই হতাশ হয়ে মাদ্রাসা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।”

 শনিবার (৩ মে) পিরোজপুর আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষকবৃন্দের আয়োজনে আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশনের তাফহীমুল কুরআন আলিয়া মাদ্রাসার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন। 

জানা গেছে. পিরোজপুর সদর উপজেলাধীন একটি মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন ও নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষাগ্রহণের বিষয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন পিরোজপুর ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শামীম সাঈদী। সভার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্র পিরোজপুর সদরের হল সুপার মোহাম্মদ শওকত আলী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর নুরুল হক আরও বলেন, “গত কয়েক বছরে আলিয়া মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থাকে একেবারে প্রান্তিক অবস্থানে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। চাকরির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা যথাযথ মূল্যায়ন পাচ্ছে না। ফলে অনেকেই হতাশ হয়ে মাদ্রাসা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।”

তিনি আরও বলেন, “নিয়মিত পাঠদান ব্যাহত হয়েছে এবং কোথাও কোথাও অযৌক্তিকভাবে অতিরিক্ত নম্বর প্রদান করা হয়েছে, যা শিক্ষার গুণগত মানকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।”

এ সময় প্রফেসর নুরুল হক ঘোষণা দেন, “আগামী অর্থবছরে প্রতিটি জেলায় শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য ট্রেনিং ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হবে। যে-সব প্রতিষ্ঠানে সরকারি ভবন নেই, সেখানে ভবন বরাদ্দের উদ্যোগ নেওয়া হবে। পাশাপাশি মেধাবী ও পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাবৃত্তির ব্যবস্থাও থাকবে।”

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় একটি বিপ্লব আসছে। ইনশাআল্লাহ, আমরা এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আলিয়া মাদ্রাসাকে তার যথাযোগ্য অবস্থানে ফিরিয়ে আনব।”

সভায় বক্তারা শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন, শিক্ষকের প্রশিক্ষণ এবং নকলমুক্ত পরীক্ষা গ্রহণ বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ রক্ষায় এই ধরনের উদ্যোগকে আশার নতুন আলো হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।