শ্রীলঙ্কাকে গুঁড়িয়ে যুবাদের রাজসিক জয়
- ২২ জুন ২০২৫, ১৫:১৭
সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ দল। ১৪৬ রানের রাজসিক এই জয়ে ৩-১ ব্যবধানে সিরিজে এগিয়ে টাইগার যুবারা। এদিন লাল-সবুজের হয়ে অনবদ্য সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন জাওয়াদ আবরার।
শনিবার (৩ মে) কলম্বো ক্রিকেট ক্লাব মাঠে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ শুরু পেয়েছিলেন দুই ওপেনার জাওয়াদ আবরার এবং কালাম সিদ্দিকী। তবে দলীয় ফিফটির আগেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন কালাম (২৪ বলে ১৯)।
এরপর আজিজুল হাকিম তামিমকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় স্কোরশিট সচল রাখেন জাওয়াদ। কিন্তু ভালো শুরু পেলেও বেশিক্ষণ উইকেটে থিতু হতে পারেননি দলীয় অধিনায়ক। ৩১ বলে ২৩ রান করে বিদায় নেন তিনি।
তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে ফিফটি ছুঁয়ে সেঞ্চুরির দিকে এগোতে থাকেন জাওয়াদ। তার ব্যাটে চড়েই এগিয়েছে ইনিংস। তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন চারে নামা রিজান। সাবলীল ব্যাটিংয়ে জাওয়াদের তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার ছোঁয়ার পর রিজানও ফিফটি ছুঁয়ে ফেলেন।
তবে দলীয় ২২২ রানের মাথায় ১১৫ বলে ১১৩ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন আবরার। এরপর রিজানও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৭৭ বলে ৮২ রানে থামেন মিডল-অর্ডার এই ব্যাটার। শেষ দিকে ২৭ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেলেন মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। এছাড়া দেবাশীষ দেবা ১১ বলে ১৯ এবং ৯ বলে ৩৫ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন সামিউন বাসির। শেষমেশ নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩৩৬ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার হয়ে ৩ উইকেট নেন রাসিথ নিমসারা।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ইনিংসের প্রথম দুই ওভারেই দুই ওপেনারকে হারায় লঙ্কানরা। দুলনিথ সেগারাকে সানজিদ মজুমদার এবং রেহান পেইরিসকে প্যাভিলিয়নে ফেরান আল ফাহাদ। চারে নামা কিঠমা ভিদানাপাথিরানাও (৯ বলে ২) উইকেটে থিতু হতে পারেননি। এ ছাড়া ১৮ বলে ৩০ রানে বিদায় নেন তিনে নামা হীনাটিগালা।
সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলে উইকেটে থিতু হওয়ার চেষ্টা চালিয়েছিলেন কাভিজা গামাগে। তবে ধীরগতির ইনিংস সাজানো এই ব্যাটারকে (৪৬ বলে ২৩) সাজঘরের পথ দেখিয়েছেন সামিউন।
এরপর দ্রুত আরও দুই উইকেট খুইয়ে ফেলে স্বাগতিকরা। ১২৪ রানের মাথায় ৭ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকেই ছিটকে যায় লঙ্কান যুবারা। শেষমেশ অধিনায়ক দিনসারার ৭২ বলে ৬৬ রানের ইনিংসও দলের জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। লঙ্কানরা ১৯০ রানে গুটিয়ে গেলে ১৪৬ রানের বিশাল এক জয় পায় সফরকারীরা।
বাংলাদেশের হয়ে আল ফাহাদ তিনটি, সানজিদ মজুমদার ও আজিজুল হাকিম দুটি করে এবং সামিউন বাসির, দেবাশীষ দেবা এবং কালাম সিদ্দিকী একটি করে উইকেট শিকার করেন।