মামলা না নেওয়ায় ওসিকে চাকরি ছাড়তে বললেন আইনজীবী
- ২২ জুন ২০২৫, ১৫:১৮
জামালপুরের বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা না নেওয়ার অভিযোগ তুলে তাকে চাকরি ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছেন জেলা জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আনিসুজ্জামান গামা।
শুক্রবার (২ মে) দুপুরে বকশীগঞ্জ পৌর বিএনপির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১ মে) রাতে তাদের মধ্যে হওয়া একটি ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়, যেখানে পিপি ওসিকে স্বৈরাচারের দোসর আখ্যা দিয়ে পদত্যাগ করতে বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে অ্যাডভোকেট গামা বলেন, গত ২৬ এপ্রিল রাতে বকশীগঞ্জ পৌরসভার বটতলা মোড়ে উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে কয়েকজন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সাবেক সংসদ সদস্য এম রশিদুজ্জামান মিল্লাতকে প্রকাশ্যে গালিগালাজ করেন। এ ঘটনায় প্রতিবাদ করায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আশিকুর রহমান তুলনকে মারধর করা হয়।
পরে আশিকুর রহমান থানায় নুরুল ইসলামসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে স্থানীয় বিএনপি নেতারা মীমাংসার কথা বলে ওসিকে মামলা না নেওয়ার অনুরোধ করেন। এর প্রেক্ষিতে ওসিকে ফোন করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আইনজীবী এবং তাকে চাকরি থেকে পদত্যাগ করতে বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে গামা অভিযোগ করেন, ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ মামলা না নিয়ে তাকে ঘুরিয়েছেন এবং উল্টো খারাপ আচরণ করেছেন। ওসি নিজে আমাকে ফোন করে মামলা লিখে দিতে বলেন। মামলা লিখে দেওয়ার পরও মামলা নেননি ওসি। তিনি মামলা নেবেন না, তাহলে আমাকে দিয়ে মামলা কেন লিখিয়ে নেবেন? এ জন্য তাকে চাকরি রিজাইন দিতে বলেছি।
অন্যদিকে ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, পিপি আনিসুজ্জামান গামা তাকে বিভিন্ন অনৈতিক মামলা নিতে চাপ দেন এবং আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। জজ কোর্টের পিপি মোবাইল ফোনে কল দিয়ে আমাকে বিভিন্ন ধরনের কথা বলেন ও চাকরি রিজাইন দিতে বলেন।
উল্লেখ্য, ২৯ এপ্রিল আশিকুর রহমান থানায় নুরুল ইসলামসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করলে ওসি তা গ্রহণ করেন।