ঘাড়ব্যথা থেকে মুক্তির সহজ উপায়: নিয়মিত করুন এই ব্যায়ামগুলো
- ২২ জুন ২০২৫, ১৫:৩২
মানবদেহের প্রতিটি অঙ্গের কাজ পরিচালনায় নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র হলো মস্তিষ্ক। মস্তিষ্কের পাঠানো বার্তা মেরুদণ্ডের স্নায়ুপ্রবাহের মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অংশে পৌঁছায়। এই সংযোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ঘাড়, যেখানে রয়েছে সংবেদনশীল হাড় ও পেশিগুচ্ছ। তাই ঘাড়ের স্বাস্থ্য সারা শরীরের সুস্থতায় বড় ভূমিকা রাখে। ব্যায়ামের অভাব, হাড়ের ক্ষয়, ক্যালসিয়ামের ঘাটতি, অস্বস্তিকর বালিশে ঘুমানো ইত্যাদি কারণে ঘাড়ে ব্যথা বা টান লাগার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন কয়েকটি সহজ যোগ-ব্যায়াম অভ্যাস করতে পারেন, যা ঘাড়ের মাংসপেশি ও কশেরুকাকে সক্রিয় ও নমনীয় রাখে। যেমন—মাথা ও মেরুদণ্ড সোজা রেখে বসে প্রথমে শ্বাস নিতে নিতে মাথা পেছনে হেলান, ৫-১০ সেকেন্ড ধরে রেখে শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে মাথা স্বাভাবিক অবস্থায় আনা। একইভাবে, মাথা সামনে ঝুঁকিয়ে থুতনি বুকের দিকে, এরপর একবার ডান ও একবার বাঁ দিকে মাথা কাত করার ব্যায়ামও করতে হবে। এসব প্রতিটি প্রক্রিয়া ৩–৫ বার পুনরাবৃত্তি করুন।
এছাড়া হাতের সাহায্যে ঘাড়ে চাপ প্রয়োগ করে ব্যালান্স তৈরি করাও কার্যকর। যেমন, এক হাত কানে ও অন্য হাত দিয়ে মাথায় চাপ দিয়ে আবার মাথা দিয়ে হাতের দিকে প্রতিরোধ তৈরি করুন। একইভাবে কপালে ও মাথার পেছনেও একই ধরনের বিপরীতমুখী চাপ প্রয়োগের ব্যায়াম রয়েছে। শেষ পর্যায়ে হাত ফাঁসিয়ে মাথার পেছনে রেখে চাপ দিয়ে কম্পন সৃষ্টি করে ঘাড়ের পেশিগুলো সক্রিয় করা হয়। সবকিছু শেষ করে কয়েক মিনিট শবাসনে বিশ্রাম নেওয়াই ভালো।
যেসব সতর্কতা মানা জরুরি:
যাঁরা স্পন্ডিলাইটিস বা সার্ভিক্যাল স্পন্ডিলোসিসে ভুগছেন, তাঁদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যায়াম করা উচিত। রোগাক্রান্ত অবস্থায় ঘাড় সামনে বা পেছনে অতিরিক্ত ঝুঁকানো উচিত নয়।
এ ছাড়া শরীরে পর্যাপ্ত সূর্যালোকের অভাবে ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দিতে পারে, যা হাড় দুর্বল করে দেয়। তাই নিয়মিত রোদে কিছুক্ষণ থাকা, এবং ছয়টি প্রধান খাদ্য উপাদান—কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন, খনিজ ও পানি—সমৃদ্ধ সুষম খাবার খাওয়ার দিকে খেয়াল রাখা জরুরি।