সোনার দামে ব্যাপক দরপতন

স্বর্ণালঙ্কার
স্বর্ণালঙ্কার © সংগৃহীত

বিশ্ববাজারে সোনার দাম গত কিছুদিনে ব্যাপক অস্থিরতা লক্ষ্য করা গেছে। বড় উত্থানের পর এখন সোনার দাম নিচের দিকে পড়েছে। ২২ এপ্রিল প্রথমবারের মতো প্রতি আউন্স সোনার দাম ৩,৪৯৪ ডলারে পৌঁছেছিল, যা ছিল বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দাম। তবে এই রেকর্ডের পর সোনার দাম দ্রুত কমে গেছে এবং ৯ দিনের মধ্যে প্রতি আউন্স সোনার দাম প্রায় ৩০০ ডলার নিচে নেমে এসেছে।

মার্চের শেষদিকে, ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের ঘোষণার আশঙ্কায় সোনার দাম বাড়তে শুরু করেছিল এবং প্রতি আউন্স সোনার দাম ৩,১৫০ ডলার ছাড়িয়েছিল। পরবর্তীতে, যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে শুল্ক যুদ্ধ শুরু হলে সোনার দাম আরো বাড়ে এবং ১১ এপ্রিল, ২০২৫, তা ৩,২০০ ডলার স্পর্শ করে। এরপর ২২ এপ্রিল রেকর্ড সর্বোচ্চ দাম ৩,৪৯৪ ডলারে ওঠে।

এই উচ্চ দামের পর সোনার দাম ব্যাপক পতন ঘটেছে। একদিনেই প্রতি আউন্স সোনার দাম ২০০ ডলার পর্যন্ত কমে যায়। ১ মে, ২০২৫, বাংলাদেশ সময় বিকেল ৬টা পর্যন্ত, প্রতি আউন্স সোনার দাম ৩,২০৭ ডলারে নেমে এসেছে, যা ২২ এপ্রিলের সর্বোচ্চ দামের চেয়ে ২৯০ ডলার কম।

দেশীয় বাজারে এই অস্থিরতার প্রভাব পড়েছে। সোনার দাম বাড়ানো ও কমানোর কয়েকটি দফা ঘটেছে। ২৩ এপ্রিল, ২০২৫, সোনার দাম কিছুটা কমানো হয়। ২২ ক্যারেটের সোনা প্রতি ভরি ৫,৩৪২ টাকা কমিয়ে ১,৭২,৫৪৬ টাকায়, ২১ ক্যারেটের সোনা ৫,১০৯ টাকা কমিয়ে ১,৬৪,৬৯৬ টাকায়, এবং ১৮ ক্যারেটের সোনা ৪,৩৭৪ টাকা কমিয়ে ১,৪১,১৬৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এর আগে, ২২ এপ্রিল, সোনার দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, যার ফলে সোনার দাম ২৩ এপ্রিল, ২০২৫, সকাল থেকে বিকাল ৪টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত সর্বোচ্চ পর্যায়ে ছিল। তবে, বিশ্ববাজারে সোনার দাম ১০০ ডলার কমায় দেশের বাজারে দাম আবার কমতে পারে।

বাজুসের এক সদস্য জানান, বিশ্ববাজারে সোনার দাম এখন খুবই অনিশ্চিত এবং কোনো পূর্বাভাস দেওয়া কঠিন। সোনার দামের এই অস্থিরতা সাধারণত দেখা যায় না, কিন্তু বর্তমানে বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে দাম উঠানামা করছে।