বিএসসি প্রকৌশলীদের দাবির প্রতি সংহতি জানাল রুয়েট

রুয়েটের মূল ফটক
রুয়েটের মূল ফটক © সংগৃহীত

সম্প্রতি বিসিএস (প্রকৌশল) ক্যাডারে ৯ম ও ১০ম গ্রেডের পদে নিয়োগ ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে অসামঞ্জস্যপূর্ণ ও বৈষম্যমূলক নীতির অভিযোগে প্রকৌশল শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের আন্দোলনে সমর্থন ও সংহতি প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) প্রশাসন। বুধবার (৩০ এপ্রিল) রুয়েট জনসংযোগ দপ্তরের উপ-পরিচালক স্বাক্ষরিত একটি বিবৃতিতে এ সংহতি প্রকাশ করা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বিসিএস (প্রকৌশল) ক্যাডারে ৯ম ও ১০ম গ্রেডের পদে নিয়োগ ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে যে অসামঞ্জস্যপূর্ণ ও বৈষম্যমূলক নীতি অনুসৃত হচ্ছে, তা প্রকৌশল শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের মাঝে ন্যায়বিচারবোধ ও পেশাগত মর্যাদার প্রশ্নে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিএসসি প্রকৌশলীদের প্রতি বৈষম্য নিরসনের লক্ষ্যে উত্থাপিত তিন দফা দাবি হলো প্রকৃত যোগ্যতার ভিত্তিতে ৯ম গ্রেডে নিয়োগ, ১০ম গ্রেড সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা এবং প্রকৌশল পেশার স্বীকৃতি আইনি প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণ। এসব দাবি সুস্পষ্টভাবে যৌক্তিক ও বাস্তবভিত্তিক। রুয়েট প্রশাসন এই দাবিগুলোর প্রতি পূর্ণ সমর্থন ও সংহতি প্রকাশ করছে।

এতে আরো বলা হয়, প্রকৌশলীরা একটি দেশের অবকাঠামো, প্রযুক্তি এবং টেকসই উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি। তাদের প্রতি কোনো রকম অবিচার বা পেশাগত অসম্মান দেশের সার্বিক অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। রাষ্ট্রের উচিত তাদের মেধা, শ্রম ও যোগ্যতার যথাযথ মূল্যায়ন নিশ্চিত করা। রুয়েট প্রশাসন মনে করে, পরীক্ষার ভিত্তিতে নিয়োগ ও পদোন্নতি পদ্ধতি গ্রহণ করাই সবচেয়ে ন্যায্য এবং স্বচ্ছ উপায়। এতে করে প্রকৌশল খাতে প্রকৃত মেধাবীদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত হবে এবং শিক্ষা ও পেশাগত প্রশিক্ষণের প্রকৃত মূল্যায়ন ঘটবে। এর পাশাপাশি, 'ইঞ্জিনিয়ার' পদবি ব্যবহারের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট যোগ্যতা নির্ধারণ করে আইন পাস করাও সময়ের দাবি।

এসময় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি) এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিকট আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, তারা যেন প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের এই যৌক্তিক দাবিসমূহকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে, যথাযথ নীতিগত ও আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং একটি বৈষম্যহীন, স্বচ্ছ, প্রতিযোগিতামূলক নিয়োগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করে।