‘ক্ষমতার বলে আবার বেঁচে গেলো মাহমুদউল্লাহ’

হারার পর দর্শকের দিকে তেড়ে যান মাহমুদউল্লাহ
হারার পর দর্শকের দিকে তেড়ে যান মাহমুদউল্লাহ © সংগৃহীত

চলতি মৌসুমে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের (ডিপিএল) অঘোষিত ফাইনালে আবাহনীর কাছে ৬ উইকেটে হেরেছে মোহামেডান। এই পরাজয়ের পর দর্শকদের দুয়ো শুনে রীতিমত মেজাজ হারিয়ে ফেলেন মোহামেডানের মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

ম্যাচ শেষে ড্রেসিংরুমে ফিরছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সতীর্থরা। এ সময়ে গ্র্যান্ড স্ট্যান্ড থেকে রিয়াদকে কেউ একজন কিছু একটা বলেন। যা মোটেই পছন্দ হয়নি রিয়াদের। সঙ্গে সঙ্গে লাফ দিয়ে গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডে উঠে তাকে মারতে যান মিস্টার সাইলেন্টকিলার। এ সময় অন্য খেলোয়াড়, কর্মকর্তারা তাকে নিবৃত্ত করে মাঠে ফিরিয়ে আনেন।

এ প্রসঙ্গে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মোহামেডান ম্যানেজার সাজ্জাদ আহমেদ শিপন গণমাধ্যমে বলেন, 'কর্মকর্তাদের ভুয়া বলেছিলেন ওই দর্শক। পরে রিয়াদ ভেবেছে, তাকে ভুয়া বলেছে। যে কারণে সে গিয়েছিল, এ ছাড়া কিছু নয়।'

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মোহাম্মদ নাদিম নামে এক সমর্থক ফেসবুকে দাবি করেছেন, আজকের ঘটনাটি তারই সঙ্গে ঘটেছে।

ওই পোস্টের পর নিজের ফেসবুক আইডিতে আরও একটি পোস্ট দিয়েছেন নাদিম। সেখানে তিনি দাবি করেন, নিজের ক্ষমতার বলে আবার বেঁচে গেলো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ!

ফেসবুকে নাদিম লেখেন, 'কোন রকম কারণ ছাড়া একজন সাধারণ ফ্যানকে মারতে গ্যালারিতে ছুটে এসেছে। এমনভাবে এসেছিল, সম্ভবত আশেপাশে কেউ না থাকলে বা কেউ না আটকালে 'খুনই' করে ফেলতো। অথচ সাধারণ ফ্যানটা তাকে কিছু বলেও নাই, বরং 'ভালো খেলসেন, রিয়াদ ভাই' বলে প্রশংসা করেছিল। কিন্তু প্রশংসার জন্যে সে তাকে মারতে এসেছিল। 

এভাবেই বেঁচে যায়, এসব মানষরুপী কুকুরের দল। আমাদের মিডিয়া তাদের বাঁচিয়ে দেয়। অনেকগুলো মিডিয়ার কাছে পুরো ভিডিওটা আছে, আমি আহ্বান করবো, এটা পাব্লিশ করার জন্যে। আমার যদি নূন্যতম অপরাধ থাকে, আমার শাস্তি পেতে নিতে আপত্তি নাই। সেটা যেকোনো হতে পারে। তা-ও ভিডিওটা পাব্লিক করেন, সবাই দেখুক কি ঘটেছিল। সিসিটিভি ফুটেজ থাকলে, সেটাও খুঁজে বের করেন। আজ আমার সাথে ঘটেছে, কাল আপনার সাথে ঘটবে।'

এদিকে এই ঘটনায় এখনো কোনো মন্তব্য করেননি মাহমুদউল্লাহ। সাধারণত ঠাণ্ডা মাথার মানুষ হিসেবে পরিচিত হলেও মাহমুদউল্লাহর এমন রুদ্রমূর্তি দেখে চমকে গেছেন অনেকেই ।

উল্লেখ্য, অলিখিত ফাইনালে আবাহনী লিমিটেডের কাছে ৬ উইকেটে হেরেছে মোহামেডান। এই ম্যাচে ফাইনালে ব্যাট হাতে ৬২ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৫০ রানের ইনিংস খেলেন রিয়াদ। সবমিলিয়ে ৭ উইকেটে ২৪০ রানের সংগ্রহ পায় তার দল। ৪০ দশমিক ৪ ওভারে মাত্র ৪ উইকেটে টপকে যায় আবাহনী।