একটি ‘১০০’ দেখার ২৮ মাসের অপেক্ষা শেষ হলো বাংলাদেশের
- ২৪ জুন ২০২৫, ১২:৩২
চট্টগ্রাম টেস্টে জিম্বাবুয়ের কোন বোলারই বাংলাদেশের শিবিরে তেমন ভয় ধরাতে পারছিলেন না। স্বাগতিক ওপেনাররাও সেভাবে সুযোগ দিচ্ছিলেন না। মধ্যাহ্নভোজের আগে ২৬ ওভারে ৬ বোলারকে ব্যবহার করেও সাফল্য পাচ্ছিলেন না সফরকারী অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন।
সাবলীল ব্যাটিংয়ে ৫০-এর পর শতরানের জুটি গড়ে ফেলেন দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও সাদমান ইসলাম। তবে বিরতি থেকে ফেরার পর ৩৯ রান করে বিজয়ের বিদায়ে ভেঙেছে ওপেনিং জুটি।
দীর্ঘদিন ধরেই লাল-সবুজ শিবিরে দুশ্চিন্তার কারণ এই ওপেনিং জুটি। বিজয়-সাদমান যখন ১১৮ রানের জুটি ছুঁয়ে ফেলেছেন; তখনই ইতিহাস বলছিল, সবশেষ ৩২ ইনিংস মানে প্রায় ২৮ মাস আগে এমন জুটি পেয়েছিল বাংলাদেশ।
সবশেষ ২০২২ সালে সাগরিকার এই ভেন্যুতেই জাকির হাসানকে নিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ১২৪ রান করেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ওই ম্যাচে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করা জাকেরকে হটিয়ে একাদশে সুযোগ পাওয়া বিজয়ও এবার শতক পেরোনো জুটির ভাগিদার বনে গেলেন। এ ছাড়া ১২ ইনিংস আগে ৫০ পেরোনোর আক্ষেপও ঘুচিয়ে ফেলেছেন বিজয়-সাদমান।
মূলত উদ্বোধনী জুটির ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতেই ঘরোয়া ক্রিকেটে রানের বন্যবইয়ে দেওয়া বিজয়কে স্কোয়াডে ডেকেছেন নির্বাচকরা। মাহমুদুল হাসান জয়কে সরিয়ে সাদমানের ওপেনিং—সঙ্গী হিসেবে বিজয়কে একাদশে রাখা হয়েছে। কিছুটা হলেও আস্থার প্রতিদান দিলেন এই ওপেনার। এর আগে ক্যারিয়ারের ৫ টেস্টে সবমিলিয়ে ১০০ রান করা বিজয়ের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল ২৩ রান।
মধ্যাহ্নভোজের বিরতির আগেই ৬৫ বলে ৩৮ রান করে তা ছাড়িয়ে গেছেন তিন বছর পর টেস্টে ফেরা বিজয়। বিরতি থেকে ফিরে ১ রান যোগ করা পরই প্যাভিলিয়নে ফেরেন বিজয়। এরই মধ্যে হাফ-সেঞ্চুরি পেরিয়ে তিন অঙ্কের দিকে ছুটছেন আরেক ওপেনার সাদমান।