৩০ মিনিটের কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টিতে লন্ডভন্ড কৃষকের স্বপ্ন

কেটে রাখা ধান পানিতে ডুবে আছে ও শিলাবৃষ্টি
কেটে রাখা ধান পানিতে ডুবে আছে ও শিলাবৃষ্টি © টিডিসি সম্পাদিত

যশোরে ১৮০ কিলোমিটার বেগে হওয়া মাত্র ৩০ মিনিটের কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড যায় কৃষকের স্বপ্ন। ঝড়ের সাথে হওয়া শিলাবৃষ্টিতে পড়ে গেছে বোরো ধান, জমে গেছে পানি। সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলের এই ঝড়-বৃষ্টিতে মাথায় হাত পড়েছে চাষীদের। 

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সোমবার বিকেলের দিকে ১৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় শুরু হয়, সেই সঙ্গে পড়ে শিলাবৃষ্টি। বৃষ্টি কমে গেলেও শিলা পড়তে থাকে। এতে কৃষকের ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে যায়। মাঠে এখনও ৪০-৪৫ ভাগ পাকা ধান রয়েছে। তবে কৃষকদের দাবি, ৬০ থেকে ৭০ ভাগ ধান এখনও মাঠে রয়েছে। জেলার চৌগাছা, সদর ও বাঘারপাড়া উপজেলায় ক্ষতির পরিমাণ বেশি বলে জানা গেছে। 

চৌগাছার শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ১৮ বিঘা জমিতে ধানের আবাদ করেছি। ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে সব ধান মাঠে মাটিতে পড়ে গেছে।’ 

আরও পড়ুন: প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলা ও স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি

আরেক কৃষক আকবর আলী বলেন, ‘আমি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে তিন বিঘা জমিতে চান চাষ করেছি, ধান কেটে রাখার পর এখন পানিতে ভাসছে।’ 

যশোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আকস্মিক শিলাবৃষ্টিতে যশোরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চৌগাছায়। মাঠে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ধানের ক্ষতি হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ বছর এক লাখ ৫৭ হজার ৫০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে। এর মধ্যে সোমবার পর্যন্ত কাটা হয়েছে ৫১ শতাংশ জমির ধান। কেটে রাখা ধানক্ষেত থেকে পানি বের করার পরামর্শ দিচ্ছি। আশা করা যাচ্ছে, আগামীকাল থেকে আবহাওয়ার উন্নতি ঘটবে। দ্রুত পাকা ধান কেটে ফেলার পরামর্শ দিচ্ছি।’