বিতর্কিত মন্তব্য করে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ইবি কর্মকর্তা

মোজাম্মেল হক
মোজাম্মেল হক © সংগৃহীত

বিনা ছুটিতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন মহানবী হযরত মোহাম্মদকে (স.) নিয়ে কটূক্তিকারী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সাব-রেজিস্ট্রার মোজাম্মেল হক। রেজিস্ট্রার মোজাম্মেল হকের বিচারের দাবিতে ক্যাম্পাসে মানববন্ধন ও ভিসি বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। একই দাবিতে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে ঝিনাইদহ ইমাম পরিষদ। 

শিক্ষার্থীরা বলেন, এই কর্মকর্তা দীর্ঘদিন থেকে মহানবী হযরত মোহাম্মদকে (সা.) কটূক্তি করে আসছিল। সমস্ত পৃথিবীর রহমত স্বরূপ তাকে পৃথিবীতে প্রেরণ করা হয়েছে। এরকম এক মহামানবকে নিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় কটূক্তি করা হয়েছে। আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

তারার আরও বলেন, আমরা মনে করি সারা দেশের মানুষকে আলোর পথ দেখাবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি জায়গায় এবং আল হাদিস বিভাগের কর্মকর্তার রসুলের শানে এধরণের বেয়াদবি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তাই প্রশাসনের কাছে এই কর্মকর্তার বহিষ্কারের দাবি জানাচ্ছি।  

ঝিনাইদহ ইমাম পরিষদের স্মারকলিপিতে বলা হয়, মুজাম্মেল হক নামের এক ব্যক্তি আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার পাশাপাশি ইসলামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চরম কটূক্তি ও অশালীন মন্তব্য করেছে যা দেশের কোটি কোটি মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরম আঘাত হেনেছে।

আরও পড়ুন: তিতুমীর কলেজে শৌচাগার সংকট, স্বাস্থ্যঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা

এমন ঘৃণ্য ও উসকানিমূলক বক্তব্য শুধু ধর্মীয় সহনশীলতা নষ্ট করে না, বরং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে বিঘ্নিত করে সমাজে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করতে পারে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান তারা। 

আল হাদিস বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আকতার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় আগেই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এটি এখন জাতীয় ইস্যু হয়ে গেছে। তবে অভিযুক্ত মোজাম্মেল হক বিভাগে আসছে না। এ বিষয়ে আগামীকাল প্রশাসনের সাথে মিটিং আছে সেখানে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোজাম্মেল হক এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

উল্লেখ্য, মহানবীকে (সা.) কটূক্তিকারী মোজাম্মেল হক ঝিনাইদের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার তাহেরহুদা ইউনিয়নের ভুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মহানবীকে (সা.) নিয়ে কটূক্তি করে আসছিল। এতে গ্রামবাসীরা ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে গণধোলাই দিয়ে আটকে রাখে এবং পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে মৌখিক মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়।