ইবিতে ছাত্র ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা
- ২৪ জুন ২০২৫, ১২:৫৪
ঐক্য, শিক্ষা, শান্তি ও প্রগতির পতাকাবাহী বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ৭৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে শাহ আজিজুর রহমান হলের বটতলা প্রাঙ্গণে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ইবি সংসদের সভাপতি মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নুরে আলমের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বশির আহমদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট, সহ-সমন্বয়ক গোলাম রাব্বানী ও শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক সাহেদ আহম্মেদ৷
শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক সাহেদ আহম্মেদ বলেন, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ইতিহাস আমাদের ৫২ এর ভাষা আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে। মহান মুক্তিযুদ্ধেও তাদের নিজস্ব গেরিলা বাহিনী ছিল। ৭৩ সালের আমেরিকার আগ্রাসনের বিরুদ্ধেও রাজধানী ঢাকায় অলিউর ও কাদের নামে তাদের দুজন শহীদ হয়। ছাত্র ইউনিয়ন সবসময় শিক্ষার্থীদের পক্ষে কাজ করার চেষ্টা করে আসছে। তারা সবসময়ই অন্যায় ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। আমি ছাত্র ইউনিয়নের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।
ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, ক্যাম্পাসে আসার আগেই ছাত্রমৈত্রীর সাথে এলাকায় আমার সুসম্পর্ক ছিল। ক্যাম্পাসে আসার পরেই ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেওয়ার সুযোগ হয়। পরবর্তীতে প্রশাসনের বিরুদ্ধে বর্ধিত ফি প্রত্যাহারের আন্দোলন ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনেও স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ায় ছাত্র ইউনিয়ন। দল সংগঠন অনেক আছে কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থী ও মেহনতি মানুষের কথা ভেবে কয়জন রাজনীতি করে? ১৯৫২ থেকে আজ অবধি মৌলিকতা বজায় রেখে ছাত্র ইউনিয়ন যে পথচলাকে সঙ্গী করেছে, আমরাও তেমনি একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্র চাই। শিক্ষার পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে আমরা ছাত্র ইউনিয়নের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করে যাব।
প্রধান অতিথি বশির আহমেদ বলেন, ৫২র ভাষা আন্দোলনের পরে ছাত্র ইউনিয়নের জন্ম হলেও ছাত্র ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ তার আগে থেকেই সরব ছিলেন। ভাষা সৈনিক আব্দুল মতিন ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন। এই বাংলাদেশে ছাত্র ইউনিয়ন ই একমাত্র সংগঠন যা কখনোই শিক্ষার্থীদের স্বার্থ বিরোধী কাজ করেনি। ছাত্র ইউনিয়ন সব আন্দোলনে পক্ষে থেকেছে যা রাজনীতিতে বিরল। একমাত্র সংগঠন হিসেবে ছাত্র ইউনিয়ন যে আন্দোলন সংগ্রামে জনগণের পক্ষে থাকে, অন্য কোন রাজনৈতিক দল নিজেদের নিয়ে এই দাবী করতে পারে না। চব্বিশের অভ্যুত্থানের পরে দেশে মৌলবাদী গোষ্ঠীর প্রভাব বেশ বেড়ে গেছে। এই মৌলবাদী গোষ্ঠীকে মোকাবিলা করাটাও ছাত্র ইউনিয়নের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে যায়।