এনসিপি নেতাকে মারধরের ঘটনায় ঢাবির ৪ শিক্ষার্থী আটক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস © টিডিসি সম্পাদিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক নেতাকে মারধরের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগীর দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে ওই শিক্ষার্থীদের।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দিবাগত রাত একটার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছবির হাট এলাকায় মোটরসাইকেলের হেডলাইটের আলো চোখে পড়াকে কেন্দ্র করে এনসিপি নেতাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে এই মারধরের ঘটনা ঘটে।  

পুলিশ জানায়, ঘটনার সময় এনসিপির কয়েকজন নেতাকর্মী সেখানে আড্ডা দিচ্ছিলেন। হঠাৎ মোটরসাইকেলের আলো চোখে পড়ায় তর্কাতর্কি শুরু হয়। পরে ১০–১৫ জনের একটি দল এনসিপি নেতা জাকি সুমনের ওপর হামলা চালায়। তার মুখমণ্ডলে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।  

গ্রেপ্তার ওই চার শিক্ষার্থী হলেন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের আরিফুল ইসলাম রনি, একই বিভাগের এসএম তামিম বীন ইউসুফ ওরফে অপূর্ব, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের মো. হাসিব আল হাসান ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাইমুর রহমান দুর্জয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা মিরাজ মেহরাব তালুকদার বলেন, ‘লাল জুলাই’ নামে একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণকে কেন্দ্র করে আমাদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। হামলাকারীরা দাবি করে, প্রামাণ্যচিত্রে তাদের ছবি রয়েছে। একপর্যায়ে তারা জাকি সুমনের ওপর হামলা চালায়। পরে আমি এবং পিপলস অ্যাকটিভিস্ট কোয়ালিশনের মুখপাত্র রাতুল মোহাম্মদ, ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক শেখ মৌসুমি ঘটনাস্থলে গেলে আমাদেরও মারধর করে।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ওখানে গভীর রাতে মারামারি হয়েছে। যাদেরকে মেরেছে ব্যাপকভাবে আমি শুনলাম ওরা নাকি এনসিপির। ওরা থানায় ওদেরকে ডাকা হয়। এদিকে এরা মামলা করেছে। পরে এদেরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের নাম পরিচয় আমার জানা নেই। তবে বিশ্বস্ত সূত্রে জানলাম গ্রেপ্তার হওয়ারা প্রলয় গ্যাং এর সদস্য।   

শাহবাগ থানার তদন্ত অফিসার আসাদুজ্জামান বলেন, থানায় নিয়মিত মামলা হয়েছে। আসামীদের চালান দিয়ে দেওয়া হয়েছে।