জবি শিক্ষার্থীদের অস্থায়ী আবাসন নিয়ে যা জানাল আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের লোগো
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের লোগো © টিডিসি সম্পাদিত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের জন্য কেরানীগঞ্জে একটি আবাসিক এলাকায় দশ তলা একটি ভবন অস্থায়ী আবাসন হিসেবে বরাদ্দ করেছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। ২০২৪ সালের ১০ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় ও ফাউন্ডেশন একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। সেখানে প্রাথমিকভাবে ৭০০ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন সুবিধার কথা থাকলেও বর্তমানে তা ১ হাজারে উন্নীত করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ‘হলে’ উঠার বিষয়ে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলেন প্রকল্পটির ইনচার্জ মামুনুর রশীদ।

তিনি বলেন, আমরা অস্থায়ী আবাসনের জন্য একটি ভবন বরাদ্দ করেছি। এমনকি একটি ভবনের ছবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শেয়ার করেছিলাম। পরে দেখি সেই ছবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে সেই ছবিটি ফেসবুকে শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘ঈদের পর হল শুরু হবে’।

সেখানে ‘আস-সুন্নাহ কর্তৃপক্ষ’ লিখে দেওয়া হয়েছে। হল বিষয়ক আস-সুন্নাহ কর্তৃপক্ষ বলতে আমি নিজে। আমি এই অস্থায়ী আবাসন প্রকল্পের ইনচার্জ। অথচ আমাকে কোনোকিছু না জানিয়ে, আমার কোনো অফিশিয়াল বক্তব্য না নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর মন্তব্য দিয়ে পোস্ট ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে, যা বিব্রতকর।

কবে নাগাদ শিক্ষার্থীরা হলে উঠতে পারবে জানতে চাইলে প্রকল্পটির ইনচার্জ মামুনুর রশীদ বলেন, ‘আমরা এখন সঠিক সময়টা বলতে পারব না। কিচেন সেটআপের কাজ চলছে। কাজ শেষের দিকে গেলে আমরা হয়ত সময়টা বলতে পারবো। কারণ আমরা কিচেনের জিনিসগুলো চীন থেকে আনাচ্ছি। যতটুকু জেনেছি শিপমেন্টে জিনিসগুলো আসত ৬০ দিনের মতো সময় লাগতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘শিপমেন্ট যদি জানায় যে, জাহাজ আটকে গেছে তাহলে সময় আরও ১৫ দিন বেশি লাগবে। এখন আস-সুন্নাহ যদি আগে একটা টাইমফ্রেম ঘোষণা করে এবং পরে যদি শিপমেন্টের ডিলে হয়, তাহলে সেটা আমাদের রেপুটেশনের জন্য ক্ষতি হবে। আমাদের নিয়ে সমালোচনা হবে যে, কথা দিয়ে কথা রাখতে পারি না। আমরা এমনটা চাই না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সর্বাধুনিক সরঞ্জাম দিয়ে আবাসন সাঁজানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিচেনে রান্না করার আধুনিক সরঞ্জাম থাকবে, যেখানে ২ হাজার শিক্ষার্থীর খাবার অটোমেটিক তৈরি হবে। পুরো ব্যবস্থাপনার জন্য আমাদের সময় লাগবে। আশা করছি আমরা অতি শিগগিরই শেষ করতে পারবো এবং ভর্তির জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করব। তবে একটা সময় বলে দিয়ে আমরা আশ্বাস দিতে চাই না।’

এদিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ একটি ভবনের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীরা সেই ছবি ফেসবুকে শেয়ার করে নানা ক্যাপশন দিচ্ছেন। এতে বিভ্রান্ত হচ্ছেন বলে জানান বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী।