সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে অনন্য ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
- ২৪ জুন ২০২৫, ১৫:৪৭
সিভিলাইজেশনের জন্য যে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চর্চা ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর সৃষ্টি, সেটাই আধুনিককালের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং। সভ্যতার বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে প্রযুক্তি এবং মানুষের সম্মিলিত কর্মতৎপরতা যে শতসহস্র শহরকে সাজিয়েছে। আধুনিককালের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং সেই কর্মযজ্ঞকে কখনো নতুন রূপ আবার কখনও পুনরায় ঢেলে সাজিয়েছে, সাজাচ্ছে। কোথাও-বা প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় শিল্পীর গুণগান ছড়িয়ে পড়েছে দেশ-মহাদেশে। ভবন, রাস্তা, রেলপথ ও সেতু থেকে শুরু করে বিমানবন্দর, নৌবন্দর, খনি কিংবা ভূগর্ভস্থ টানেল—সবকিছু নির্মাণের ইতিহাসের সঙ্গেই নিবিড়ভাবে জড়িয়ে থাকেন একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার।
আধুনিক সময়ে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এই জ্ঞানকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চর্চা করা হয়। একদল গুণী শিক্ষাবিদ ও ইন্ডাস্ট্রি প্রফেশনালের সমন্বয়ে সেই কাজটিই সুচারুভাবে করেছে রাজধানীর বেসরকারি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ)।
কিউএস এশিয়া ২০২০ এবং ২০১৯ র্যাঙ্কিং অনুসারে ইউআইইউ বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে একটি। রাজধানীর বুকে সবচেয়ে বড় সবুজ ক্যাম্পাস বিশ্ববিদ্যালয়টিকে অন্যদের চেয়ে আলাদা করেছে। শিক্ষা ও গবেষণার এমন উৎকৃষ্ট পরিবেশে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ প্রতিটি শিক্ষার্থীকে একজন দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে গড়ে তোলার কাজ করছে।
বিভাগ সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের ভাষ্য, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের অন্যতম কাজ হলো সাসটেইনেবল এবং সবুজ সভ্যতা বিনির্মাণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা। প্রতিনিয়ত টেকসই উন্নয়নের এই চাহিদাকে মাথায় রেখেই ইউআইইউ’র বিভাগটি যাত্রা শুরু করে। উচ্চশিক্ষালয়টি এমন সব দক্ষতাসম্পন্ন মানবসম্পদ তৈরি করতে চায়, যারা দেশ ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সভ্যতা গড়তে ভূমিকা রাখবে।
বিভাগটির প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. রুমানা আফরিন বলেন, শিক্ষার্থীদের ভালো করার জন্য যেসব বিষয় লক্ষ্য রাখা জরুরি; তার সবটাই পূরণ করার চেষ্টা করছে ইউআইইউ কর্তৃপক্ষ। শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের আনুপাতিক হার, পর্যাপ্ত ল্যাব সুবিধা প্রদান, শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত, ইন্ডাস্ট্রির চাহিদা অনুযায়ী একটি ‘আপ টু ডেট কারিকুলাম’ এবং প্রতিটি শিক্ষার্থীর আলাদা যত্ন নেয়ার বিষয়গুলো এর মধ্যে অন্যতম। শুধু তাই নয়, এসব ক্ষেত্রে দেশের অন্য যেকোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে ইউআইইউ নিজেকে এগিয়ে রাখে বলেও জানান তিনি।

ইউআইইউ ক্যাম্পাস যেন এক টুকরো সবুজ স্বর্গ
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউআইইউ’র সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ যাত্রা শুরু করে। চার বছরের স্নাতক ডিগ্রি প্রদান করা বিভাগটি। স্প্রিং, সামার এবং ফল ট্রাইমেস্টারে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের মৌলিক প্রকৌশল বিষয়ে সুসংগঠিত জ্ঞান প্রদান করে। একইসঙ্গে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মৌলিক বিষয়সমূহে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করার পাশাপাশি একজন দক্ষ আধুনিক প্রকৌশলী হিসেবে গড়ে তোলে বলে জানান বিভাগ সংশ্লিষ্টরা।
কিউএস এশিয়া ২০২০ এবং ২০১৯ র্যাঙ্কিং অনুসারে ইউআইইউ বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে একটি। রাজধানীর বুকে সবচেয়ে বড় সবুজ ক্যাম্পাস বিশ্ববিদ্যালয়টিকে অন্যদের চেয়ে আলাদা করেছে। শিক্ষা ও গবেষণার এমন উৎকৃষ্ট পরিবেশে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ প্রতিটি শিক্ষার্থীকে একজন দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে গড়ে তোলার কাজ করছে। অভিজ্ঞ ফ্যাকাল্টি মেম্বারের সাহচর্যে শিক্ষার্থীরা পান যুগোপযোগী পাঠ্যক্রম। এছাড়াও বিশ্বব্যাপী পরিচালিত ফলাফল ভিত্তিক শিক্ষা (ওবিই) পদ্ধতি অনুসরণের পাশাপাশি বিভাগটির শিক্ষার্থীরা পান হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ।
শিক্ষার্থীদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে আধুনিক সব ল্যাব সুবিধার পাশাপাশি ইউআইইউ'র সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের রয়েছে সেন্টার ফর স্মার্ট ইনফ্রাসট্রাকচার রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি নামক বিশেষায়িত গবেষণা সেন্টার। যার মাধ্যমে বিভাগের শিক্ষার্থীরা আধুনিক সভ্যতার বিকাশে যথাযথ যোগ্যতা অর্জন করতে পারেন।
শিক্ষার্থীদের যুগোপযোগী জ্ঞান প্রদানের লক্ষ্যে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ শিক্ষার্থীদের জন্য রেখেছে বেশকিছু ল্যাব সুবিধা। একজন দক্ষ গ্র্যাজুয়েট হিসেবে নিজেকে গড়তে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা পান ট্রান্সপোর্টেশন অ্যান্ড ট্র্যাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাব, জিওটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাব, ড্রাফটিং স্টুডিও, সার্ভে ল্যাব, হাইড্রোলিক্স ল্যাব, এনভাইরনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাব, স্ট্রাকচারাল মেকানিক্স অ্যান্ড ম্যাটেরিয়ালস ল্যাব, ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যাটেরিয়ালস ল্যাব সুবিধা ও কম্পিউটার ল্যাব।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাবের কম্প্রেশন টেস্টিং মেশিন
শিক্ষার্থীদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে আধুনিক সব ল্যাব সুবিধার পাশাপাশি ইউআইইউ'র সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের রয়েছে সেন্টার ফর স্মার্ট ইনফ্রাসট্রাকচার রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি নামক বিশেষায়িত গবেষণা সেন্টার। যার মাধ্যমে বিভাগের শিক্ষার্থীরা আধুনিক সভ্যতার বিকাশে যথাযথ যোগ্যতা অর্জন করতে পারেন।
সহযোগী অধ্যাপক ড. রুমানা আফরিন মনে করেন, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা দিন দিন আরো বাড়বে। সভ্যতার বিকাশের সাথে সাথে এর যুগোপযোগী প্রতিস্থাপনের জন্য নতুন নতুন ইঞ্জিনিয়ারদের প্রয়োজন পড়বে। এমন বাস্তবতায় যারা নিজেদের দক্ষতাকে বিকশিত করে তুলে পারবে; আগামীর বিশ্বে নেতৃত্ব তাদের হাতেই।
ইউআইইউর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিশেষত্ব উল্লেখ করে বিভাগীয় প্রধান বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির কাজ নিবিড় তত্ত্বাবধানে করছে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। বিভাগটিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উচ্চতর দক্ষতাসম্পন্ন প্রবীণ ফ্যাকাল্টিরা রয়েছেন। যারা নিজেদের অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান বিতরণ করে শিক্ষার্থীদের আধুনিক বিশ্বের প্রতিযোগিতায় যোগ্য করে গড়ে তোলেন।
তিনি আরো যোগ করেন, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে শিক্ষার্থীদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে পর্যাপ্ত ল্যাব সুবিধা থাকা আবশ্যক। এছাড়া ইউআইইউ’র আধুনিক সব সুবিধাযুক্ত ক্যাম্পাস, বেটার আইটি সাপোর্ট, স্টাডি রুম, মডার্ন ক্লাসরুম সুবিধা, উন্মুক্ত খেলার মাঠ এবং সবুজ প্রকৃতি শিক্ষার্থীদের দক্ষতা অর্জনে অধিক সহায়ক হয়। শিক্ষার্থীদের এসব দক্ষতা অর্জনকে গতিশীল করতে নিয়মিত সাইট ভিজিটিংয়ের ব্যবস্থা রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। যেখান থেকে শিক্ষার্থীরা পুঁথিগত বিদ্যা অর্জনের পাশাপাশি বাস্তবিক জ্ঞান অর্জনের সুবর্ণ সুযোগ পান।
শিক্ষার্থীরা অ্যাকাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি গবেষণা ও বাস্তবিক অভিজ্ঞতা নির্ভর শিক্ষা অর্জনের সুযোগও পাচ্ছে বলে জানান এই বিভাগীয় প্রধান। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থীদের ৯টি অ্যাডভান্স ল্যাবরেটরি সুবিধা প্রদান করে ইউআইইউ। যেখানে শিক্ষার্থীরা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মূল ৫টি ক্ষেত্র নিয়ে দক্ষতা অর্জনের সুযোগ পায়। এরমধ্যে রয়েছে স্ট্রাকচারাল, জিও টেকনিক্যাল, এনভায়রনমেন্টাল, ট্রান্সপোর্টেশনাল এবং ওয়াটার রিসোর্স।

সমৃদ্ধ ল্যাবের যন্ত্রপাতি
শুধু দেশে শিক্ষা অর্জন নয়, শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা অর্জনের পথ উন্মুক্ত করতেও কাজ করছে বিভাগটি। এছাড়াও ইন্ডাস্ট্রির চাহিদা অনুযায়ী দক্ষতা নিশ্চিত করায় বিভিন্ন কোম্পানি থেকেও আকর্ষণীয় অফার পাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। ড. রুমানা আফরিন বলেন, আমরা এমনভাবে কারিকুলামকে সাজিয়েছি, যেন শিক্ষার্থীরা নিজেদের মেধা অনুযায়ী একজন শিক্ষাবিদ, গবেষক কিংবা ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রফেশনাল হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে পারেন।
আগামী দিনে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগকে শিক্ষা, গবেষণা এবং আবিষ্কারে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরানোর আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিভাগীয় প্রধান। তিনি বলেন, আমরা এমন গ্র্যাজুয়েট তৈরি করতে চাই, যারা প্রযুক্তিগতভাবে দক্ষ, সামাজিকভাবে দায়িত্বশীল এবং বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার যোগ্য হবেন।
তিনি আরো বলেন, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের যথাযথ যোগ্যতা নিশ্চিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিল্পোদ্যোক্তাদের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এসব অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের যথাযোগ্য করে গড়ে তোলেন শিক্ষার্থীরা।