শেষ ম্যাচেও ধানমন্ডির হার, জিতেও রেলিগেশন লিগে পারটেক্স

ডিপিএল
ধানমন্ডির হার, রেলিগেশন লিগে পারটেক্স

শক্তিশালী দল নিয়েও চলতি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স করতে পারেনি ধানমন্ডি ক্রিকেট ক্লাব। কাজী নুরুল হাসান সোহান-ইয়াসির আলী রাব্বীদের থেকে বড় প্রত্যাশা ছিল। তবে ব্যাট-বলে নিষ্প্রভ ছিলেন তারা। এতে সুপার লিগ থেকে আগেই ছিটকে যায় দলটি।

অন্যদিকে লিগ পর্বের ১১ ও শেষ রাউন্ডের ম্যাচ জিতেও পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবকে রেলিগেশন পর্বে খেলতে হবে। অধিনায়ক আহরার আমিনের নৈপুণ্যে ধানমন্ডিকে ২ উইকেটে হারিয়েছে তারা। ১১ ম্যাচে ৩ জয় ও ৮ হারে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ১২ দলের টেবিলে দশমস্থানে পারটেক্স। আর হার দিয়ে এবারের লিগ শেষ করল ধানমন্ডি। ১১ ম্যাচে ৪ জয় ও ৭ হারে অষ্টমস্থানে ধানমন্ডি। 

রোববার (১৩ এপ্রিল) সাভারে বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪০ রানে ৬ উইকেট হারায় ধানমন্ডি। এরপর সপ্তম উইকেটে ইয়াসির আলি ও মঈন খানের ১৩৯ রানের জুটিতে ৪৯ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২২৯ রানের সংগ্রহ পায় ধানমন্ডি। 

ইয়াসির ৩ চার ও ৪ ছক্কায় ১০৬ বলে ৯০ রান করেন। অন্যদিকে ৭ চারে ১০১ বলে ৮০ রান করেন আট নম্বরে নামা মঈন খান। 

পারটেক্সের বাঁ-হাতি স্পিনার শহিদুল ইসলাম ৩১ রানে ৫ উইকেট নেন। ১৭ ম্যাচের লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এটিই সেরা বোলিং ফিগার শহিদুলের। 

২৩০ রানের টার্গেটে ভালো শুরু পায়নি পারটেক্সও। ৪৪ রানে ৪ উইকেট হারায় তারা। পঞ্চম উইকেটে ৬৯ রানের জুটিতে দলকে লড়াইয়ে ফেরান সাব্বির রহমান ও অধিনায়ক আহরার আমিন। এক চার ও ৪ ছক্কায় সাব্বির ৪৭ রানে সাজঘরে ফেরেন।

ষষ্ঠ উইকেটে জয়রাজ শেখের সঙ্গে ৪৭ এবং সপ্তম উইকেটে মুক্তার আলিকে নিয়ে ৬২ রান যোগ করে পারটেক্সের জয়ের আশা ধরে রাখেন আহরার। জয়রাজ ১৬ ও মুক্তার ৩০ রানে আউটের পর নবম উইকেটে নাইম ইসলাম জুনিয়রকে নিয়ে ১০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ১২ বল বাকি থাকতে পারটেক্সের জয় নিশ্চিত করেন আহরার। 

বল হাতে ৩ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় ১২৬ বলে অপরাজিত ৮৫ রান করে ম্যাচসেরা হন আহরার।