
জাতীয় স্মৃতিসৌধ চত্বরে জয় বাংলা স্লোগান দেয়ায় মারধর
- ২৬ মার্চ ২০২৫, ১২:৫১

সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে জয় বাংলা স্লোগান দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় স্লোগান দেওয়া ব্যক্তিদের ধাওয়া করে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২৬ মার্চ) বেলা ১২টার পর এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বেলা ১২টার দিকে অর্ধ শতাধিক ব্যক্তি হাতে লাল পতাকা নিয়ে স্মৃতিসৌধ চত্বরে থেকে বের হচ্ছিলেন। এ সময় তারা জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, বীর বাঙ্গালীর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার, একাত্তরের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার, তুমি কে আমি কে বাঙ্গালি বাঙ্গালি বলে স্লোগান দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে স্লোগান দেওয়া ব্যক্তিদের ধাওয়া দেয় ছাত্র-জনতা।
এর আগে বুধবার সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহবায়ক নাহিদ ইসলাম। এ সময় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি ৭১ এবং ২৪ ভিন্ন কিছু নয়। ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ৭১ এর যে স্পিরিট সেটি পুনরুজ্জীবিত হয়েছে। ৭১ এ আমরা যা চেয়েছিলাম, সেটি ৫৪ বছরে অর্জিত হতে পারেনি বলেই ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশে একটি ফ্যাসিজম চেপে বসেছিল। যার কারণে আরেকটি গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। আমরা কিন্তু ৭১ এ যে সাম্যের কথা বলা হয়েছিল, আমরা কিন্তু সেই বৈষম্যহীনতার কথাই বলছি।যারা এটাকে মুখোমুখি দাড় করাচ্ছে তাদের উদ্দেশ্য অসৎ।’
অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক এই উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির দাবি বিচার, সংস্কার এবং গণপরিষদ নির্বাচন; সেই পথে গেলেই জাতির গনতন্ত্রের পথে উত্তোরণ ঘটবে। সংস্কার এবং বিচারবিহীন নির্বাচন দেওয়া হয় এবং কোনো একটি দলের চাপে নির্বাচন চাপিয়ে দেওয়া হয় তাহলে তা কখনোই মেনে নেওয়া হবে না। পুরোনো সংবিধান এবং পুরোনো ব্যবস্থাকে আকড়ে ধরে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ক্ষমতায় যাওয়ার লোভো আমরা যেন সেই সম্ভাবনাকে নষ্ট করে না দেই। আমরা দেখতে পাচ্ছি, একদিকে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বিচার এবং সংস্কারকে পাশ কাটিয়ে নির্বাচনকে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনে নানা ধরনের পায়তারা চলছে। এই সব কিছুকেই প্রতিহত করবে জাতীয় নাগরিক পার্টি।’
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যের যে পাটাতন তৈরি হয়েছে, আমরা সেই পাটাতনেই আছি। সেই পাটাতনে হয়তো বিভিন্ন দলের এজেন্ডা আলাদা হচ্ছে। আমরা যদি ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্খাকে বাস্তবায়ন করতে চাই, দেশের স্বার্থকে রক্ষা করতে চাই তাহলে আমাদের একই পাটাতনে থেকে সামনের দিকে এগোতে হবে।
জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট হয়েছে কিংবা হোক এমনটি আমরা চাই না। তবে আমাদের গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্খা কিংবা জনগণের সংস্কারের যে আকাঙ্খা সেখান থেকে কেউ সড়ে গেলে তাদের সাথে আর ঐক্যের সুযোগ থাকবে না।’