
হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা ও ছবি নিরাপদ রাখবেন যেভাবে
- ১৪ মার্চ ২০২৫, ১০:৪৩

তথ্য আদান-প্রদানের অন্যতম জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ। দিন দিন এর ব্যবহার বেড়েই চলেছে। তবে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা, ছবি ও ফাইল কীভাবে সুরক্ষিত রাখবেন ব্যবহারকারীদের অনেকেই তা জানেন না। ফলে সাইবার অপরাধীদের ব্ল্যাকমেইলিং, ফিশিং ও প্রতারণার শিকার হচ্ছেন কেউ কেউ। তবে কয়েকটি নিরাপত্তা ফিচার ব্যবহার করলেই হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ সুরক্ষিত রাখা সম্ভব। চলুন এই ফিচারগুলো কীভাবে চালু করবেন তা জেনে নেওয়া যাক
এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন:
হোয়াটসঅ্যাপের অন্যতম একটি নিরাপত্তা ফিচার হলো এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে প্রেরকের কাছ থেকেই বার্তাতে বিশেষ সংকেত (কোড) যুক্ত করে প্রাপকের কাছে পাঠানো হয়। প্রাপকের কাছে পৌঁছানোর পর কোডযুক্ত বার্তাকে আবার সাধারণ বার্তায় পরিণত করে। এতে নির্দিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ বার্তায় থাকা তথ্য জানতে পারেন না। আর তাই হোয়াটসঅ্যাপে এন্ড–টু–এন্ড এনক্রিপশন সুবিধা চালু থাকলে পাঠানো বার্তা প্রাপক ছাড়া অন্য কেউ পড়তে পারেন না। সুবিধাটি চালুর জন্য হোয়াটসঅ্যাপের সেটিংসে প্রবেশ করে চ্যাটস অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপর চ্যাট ব্যাকআপে গিয়ে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপটেড ব্যাকআপ অপশন চালু করতে হবে।
চ্যাট লক:
চ্যাট লক অপশনটিও বেশ কার্যকর। যদি মনে হয় আপনার ডিভাইস হ্যাক হয়েছে বা সাইবার হামলার কবলে পড়েছেন, তাহলে নির্দিষ্ট কোনো চ্যাট লক করে রাখতে পারেন। ফলে ব্যবহারকারী ব্যতীত অন্য কেউ ফোন ব্যবহার করলেও সেই বার্তা বা ছবি দেখতে পারেন না। এটি চালু করার জন্য প্রথমে যে চ্যটটি লক করতে চান, সেটির ওপরে ট্যাপ করে কিছুক্ষণ ধরে রাখতে হবে। এরপর তিনটি ডট মেনুতে ট্যাপ করে লক চ্যাট অপশন নির্বাচন করলেই সেটি লক হয়ে যাবে। পরবর্তী সময়ে আঙুলের ছাপ বা চেহারা চিহ্নিতকরণ প্রযুক্তির (ফেসিয়াল রিকগনিশন) মাধ্যমে সহজেই চ্যাটটি আনলক করা যাবে।
ডিসঅ্যাপিয়ারিং মেসেজ:
গোপনীয়তা বজায় রাখতে ডিসঅ্যাপিয়ারিং মেসেজ সুবিধা বেশ কার্যকর। এটি চালু থাকলে নির্দিষ্ট সময় পর হোয়াটসঅ্যাপে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আদান-প্রদান করা বার্তা ও মাল্টিমিডিয়া ফাইল মুছে যায়। এটি চালু করার জন্য প্রথমে সেটিংস অপশনে গিয়ে প্রাইভেসিতে ট্যাপ করতে হবে। এরপর ডিফল্ট ম্যাসেজ টাইমার থেকে সময়সীমা সেট করে দিন। এতে নির্দিষ্ট সময় অন্তর মেসেজ ডিসঅ্যাপিয়ার বা মুছে যাবে।।
টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন:
অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা বাড়াতে টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন চালু করা জরুরি। এটি চালু করতে হলে প্রথমে সেটিংস অপশনে গিয়ে অ্যাকাউন্ট অপশন নির্বাচন করতে হবে। সেখান থেকে ‘টু–স্টেপ ভ্যারিফিকেশন’ অপশনে ট্যাপ করুন। এখন নিচের দিকে থাকা ‘টার্ন অন’ বাটনে ট্যাপ করুন। এরপর ৬ অঙ্কের পিন সেট করুন যা আপনি সহজে মনে রাখতে পারবেন। এই পিনটি পুনরায় দিয়ে নিশ্চিত করুন এবং ‘সেভ’ অপশনে ট্যাপ করুন। এর ফলে ফোন হারিয়ে বা চুরি হলেও অন্য কেউ সহজে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করতে পারে না।
প্রাইভেসি সেটিংস নিয়ন্ত্রণ:
হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি কন্ট্রোল সুবিধা কাজে লাগিয়ে ব্যবহারকারীরা সহজেই নিজেদের ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারেন। এ সুবিধা কাজে লাগিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে স্ট্যাটাস, লাস্ট সিন, রিড রিসিটস ও প্রোফাইল ছবি কোন কোন ব্যক্তি দেখতে পারবেন, তা–ও নির্ধারণ করা সম্ভব।
সাইলেন্স আননোন কল:
স্প্যাম কলের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এর মাধ্যমে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন কেউ কেউ। এই কল বন্ধ করার উপায় রয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ সেটিংসে গিয়ে সাইলেন্স আননোন কল অপশন অন করে দিন। এতে অপরিচিত ও স্প্যাম কল এড়িয়ে যেতে পারবেন।