‘পাগল’ সেজে রাস্তায় নারীদের হেনস্তা, সেই যুবক গ্রেপ্তার
- ০৬ জুলাই ২০২৫, ১২:৫১
ঢাকার সাভার উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এক যুবক ‘পাগল’ সেজে নারীবিদ্বেষী নানা কর্মকাণ্ড করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর উত্ত্যক্ত করার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। জানা গেছে, যুবকের নাম খালিদ মাহমুদ রিদয় খান। নারীদের প্রতি অশালীন অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে উত্ত্যক্ত করা সেই কন্টেন্ট ক্রিয়েটর মো. খালিদ মাহমুদ হৃদয় খানকে গ্রেপ্তার করেছে সাভার থানা পুলিশ।
সোমবার (১০ মার্চ) বিকেল ৪টায় সাভারের আমিনবাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস) ইনামুল হক সাগর গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়টি জানিয়েছেন।
জেইউ ইনসাইডার নামের একটি ফেসবুক পেজে বলা হয়েছে, এই যুবকের নাম খালিদ মাহমুদ রিদয় খান। থাকেন সাভারে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে স্কুল–কলেজের মেয়েদের টিজ করেন, হেনস্তা করেন। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
গবেষক ও লেখক রাজু নূরুল তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ওই যুবকের একটি ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন, খালিদের ভিডিও আগেও চোখে পড়েছিল, ভেবেছিলেন তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। তবে তিনি তা নন। রাস্তায় দাঁড়িয়ে তিনি স্কুল–কলেজের মেয়েদের টিজ করেন, হেনস্তা করেন। ধর্ষণের শিকার হওয়ার ভয় দেখান।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক) খালিদ মাহমুদ হৃদয় খানকে দেখা যায়, পাগলের বেশ ধরে বিভিন্ন মেয়েদের হিজাব ছাড়া বের না হওয়ার জন্য তাদের প্রতি অশালীন মন্তব্য করছে। এটা তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে এবং এতে করে সমাজের সব মেয়েদের হেয় করছে। খালিদ মাহমুদ হৃদয় বলছেন যে, হিজাব না পড়লে ধর্ষিত হবে এবং তার নারীদের প্রতি মন্তব্য অনেক আপত্তিকর। ভিডিওতে কম বয়সী মেয়েদের প্রতিও তিনি অশালীন মন্তব্য করেন। বিশেষ করে যে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে সেখান উপস্থিত দুইজন মেয়েকে হিন্দু ধর্মের বলতে শোনা যায়। তাদের উদ্দেশ্য করে হিজাব বা বোরকা পরার কথার সাথে অনেক অশালীন ও আপত্তিকর বক্তব্য ছিল যা সমাজে একসাথে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসরত সনাতন ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টির অপচেষ্টা।
একইসঙ্গে সমাজে মা-বোনদের মধ্যে একটা বিভ্রান্তিকর মেসেজ ছড়িয়ে দিচ্ছে, এতে সমাজে সব নারীদের প্রতি পুরুষের দৃষ্টি ভঙ্গি নেগেটিভ আকারে উপস্থাপন করেছেন। এ কারণে আজ বিকেল ৪টায় সাভারের আমিনবাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার এ ধরনের কাজের ফলে সমাজে যে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হয়েছে এই অপরাধে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।