জুলাই হামলায় জড়িতদের বিচারে জাবি প্রশাসনের অনীহা, প্রতিবাদে বিক্ষোভ
- ০৭ জুলাই ২০২৫, ১৫:৪৬
জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের বিচার কাজে গড়িমসি এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক হামলাকারী ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের পুনর্বাসনের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ।
বুধবার (৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেন তারা।
এসময় নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তারা হামলাকারীদের বিচারে প্রশাসনের গড়িমসির সমালোচনা করেন। একইসাথে ছাত্রলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা কীভাবে ক্যাম্পাসের আশেপাশে ঘুরাফেরা করে এবং হাসপাতালে বসে পরীক্ষা দেয় সেই প্রশ্ন তোলেন।
সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান ইমন বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি প্রশাসন জেনে বা না জেনে ছাত্রলীগ পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে। ছাত্রলীগের হামলাকারী সন্ত্রাসীরা এখনো কীভাবে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে?’
তিনি লোক প্রশাসন বিভাগের সভাপতি হরে কৃষ্ণ কুন্ডুর উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনি যদি ছাত্রলীগকে এভাবে পুনর্বাসিত করতে থাকেন তাহলে আপনার চেয়ারটা বেশিদিন থাকবে না, আমরা আপনাকে টেনে-হিঁচড়ে নামাবো। পুনর্বার এমন চেষ্টা করলে ছাত্রলীগের দোসরদের মতোই আপনার পরিণতি হবে। মবের কারনে মৃত্যু হয় শামীম মোল্লার। এখানে বিপ্লবীদের পরিকল্পিত ভাবে ফাঁসানো হয়েছে। প্রশাসনকে বলতে চাই সঠিক তদন্ত করে বিপ্লবীদের ফিরিয়ে আনুন। জুলাই হামলাকারীদের দ্রুত বিচার করুন।
এসময় মার্কেটিং বিভাগের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী আরিফুজ্জামান উজ্জল বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের পরে দায়িত্ব নেয়া এই প্রশাসনের প্রধান কাজ ছিলো ১৫ জুলাই হামলাকারী ছাত্রলীগের বিচার নিশ্চিত করা। গণঅভ্যুত্থানের ৭ মাস পেড়িয়ে গেলেও এখনো বিচার নিশ্চিত করতে পারেনি এই প্রশাসন। আমরা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে দেখেছি হাসপাতালে ও জেলে বসে পরীক্ষা দিচ্ছে হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতারা।’
আরিফুজ্জামান আরো বলেন, ‘গত ১৫ জুলাই উপাচার্যের বাসভবনের সামনে সন্ত্রাসী ছাত্রলীগনেতা শামীম মোল্লা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করেছিল। সেই শামীম মোল্লা যখন গণঅভ্যুত্থানের পর মব জাস্টিসের স্বীকার হলো ল, এরপর প্রশাসন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করার ২ ঘন্টা পর শামীম মোল্লা মারা যাওয়ার সংবাদ আসে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নির্যাতনে নয় পুলিশের হেফাজতেই তার মৃত্যু হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘যেই বিপ্লবীরা সম্মুখ সারিতে থেকে যুদ্ধ করেছে তাদের বিরুদ্ধে ২৪ ঘন্টার ভিতরে মামলা করেছেন। কিন্তু শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারীদের উপর এখনো মামলা দিতে পারেননি। আপনারা সত্যিকারে যদি গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তি হয়ে থাকেন তাহলে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করুন।’