সমন্বয়ককে কুপিয়ে জখম
- ০৯ জুলাই ২০২৫, ১৪:৫৪
ঠাকুরগাঁওয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক কবিরুল ইসলাম জয়কে (২৯) ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ভুল্লী থানার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত জয় ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত কবিরুল ইসলাম জয় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভুল্লী থানার কেশর বাড়ি মৃত মতিউর রহমানের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, জয় ঢাকায় চোখের চিকিৎসা শেষে হানিফ পরিবহনের বাসে করে ঠাকুরগাঁও বাস টার্মিনালে নামেন। সেখান থেকে অটোরিকশায় করে বাড়ি ফেরার পথে দুটি মোটরসাইকেলে করে আসা অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা তার ওপর হামলা চালায়। ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও মারধর করে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা।
ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার রাকিবুল ইসলাম চয়ন জানান, জয়ের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারাল অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। জখমের কারণে বেশ কয়েকটি সেলাই দিতে হয়েছে।
আহত কবিরুল ইসলাম জয় বলেন, ‘আমি ১৯ তারিখ চিকিৎসার জন্য ঢাকায় গিয়েছিলাম। আজ বাড়ি ফেরার পথে রাত ২টার দিকে একজন আমাকে ফোন করে জানতে চায় আমি কোথায় আছি। পরে আমি জানাই, ঠাকুরগাঁও ফিরছি। আজ সকাল ৫টার দিকে ভুল্লী এলাকায় পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা আমার ওপর হামলা চালায়। তাদের হাতে দেশীয় অস্ত্রসহ ধারাল অস্ত্র ছিল। দুটি মোটরসাইকেলে করে এসে তারা হামলা করে। আমি হামলাকারীদের চিনতে পারিনি। তবে তারা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই হামলা চালিয়েছিল। আমি এর সঠিক বিচার চাই।’
জয় জুলাইয়ের অভ্যর্থনায় আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। তার শরীরে প্রায় ২৭টি গুলির চিহ্ন রয়েছে। চোখে গুলি লাগায় তিনি ১৯ তারিখ ঢাকায় চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন। বাড়ি ফেরার পথে ভোর ৫টায় দুর্বৃত্তরা তার ওপর হামলা চালায় এবং তার সঙ্গে থাকা সব কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়।
ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।’