এনসিটিবি ভবনের সামনে সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তার আরো ১

সাঈদ ফজলুল করিম স্বপনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপি
সাঈদ ফজলুল করিম স্বপনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপি © সংগৃহীত

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ভবনের সামনে আন্দোলনরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনার মামলায় সাঈদ ফজলুল করিম স্বপনকে (৪২) নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এর ডিবি-মতিঝিল বিভাগ।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাত ২টার দিকে নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা থানাধীন পূর্ব শিয়াচর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

থানা সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ জানুয়ারি দুপুরে পাঠ্যপুস্তকের মলাটে গ্রাফিতির বিষয়কে কেন্দ্র করে মতিঝিলে এনসিটিবি ভবনের সামনে সংঘর্ষের ঘটনায় পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ কর্তৃক ১৭ জানুয়ারি মতিঝিল থানায় এজাহারনামীয় ১৬ জনসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩০০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সাঈদ ফজলুল করিম স্বপন (৪২) উক্ত মামলার তদন্তে প্রাপ্ত অন্যতম আসামি। 

আরও জানা যায়, আলোচিত এই মামলাটি তদন্তকালে সংঘর্ষের ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ও সংগৃহীত বিভিন্ন ভিডিও পর্যালোচনায় উক্ত সংঘর্ষে রুপাইয়া শ্রেষ্ঠার উপর আঘাতকারী সাঈদ ফজলুল করিম স্বপনকে শনাক্ত করা হয়। অতঃপর তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় স্বপনের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে মতিঝিল থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা থানাধীন পূর্ব শিয়াচর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করে।

প্রসঙ্গত, নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি বইয়ের পেছনের প্রচ্ছদে ‘আদিবাসী’ শব্দ সংবলিত একটি চিত্রকর্ম স্থান পেয়েছিল। সেখানে একটি গাছের পাঁচটি পাতায় লেখা ছিল মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ও আদিবাসী; পাশে লেখা ছিল ‘পাতা ছেঁড়া নিষেধ’। গত ১২ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী ‘স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টি’ ব্যানারে এনসিটিবি ঘেরাও করার পর রাতে ওই বইয়ের অনলাইন সংস্করণ থেকে চিত্রকর্মটি সরিয়ে ফেলা হয়। তারপর গত ১৫ জানুয়ারি পাঠ্যপুস্তক ভবন ঘেরাওয়ের ঘোষণা দেয় ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতা’ নামে আদিবাসী শিক্ষার্থীদের একটি সংগঠন। একইসময়ে ‘স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টি’ও কর্মসূচি ঘোষণা দেয়। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।