চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় মামলা দায়ের

ইউনিক রোড রয়েলসের একটি বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে
ইউনিক রোড রয়েলসের একটি বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে © সংগৃহীত

ঢাকা থেকে রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে আসা ইউনিক রোড রয়েলসের ‘আমরি ট্রাভেলসের’ একটি বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ভোরে বাসের যাত্রী ওমর আলী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মির্জাপুর থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) খায়রুল বাসার। 

মামলার বাদী ওমর আলী জানান, সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টায় বাসে উঠে ডাকাতির কবলে পড়েন তিনি। এরপর থেকে এ ঘটনা নিয়েই আছেন। আজ ভোর চারটার দিকে পুলিশের গাড়িতে করে তিনি, যাত্রী সোহাগ হোসেন ও তাদের ব্যবসায়িক অংশীদার আবু হানিফকে মির্জাপুর থানায় আসেন। তারপরে মামলার এজাহারে তার স্বাক্ষর নেওয়া হয়। তবে এজাহার তাকে পড়ে শোনানো হয়নি। তিনি জবানবন্দিতে ডাকাতির ঘটনা ও দুই নারীর শ্লীলতাহানির বর্ণনা দিয়েছেন। কিন্তু এজাহারে কী লেখা হয়েছে, তিনি জানেন না।


ওমর আলী আরও বলেন, বাসের সুপারভাইজার সুমন ইসলাম (৩৩), চালক বাবলু আলী (৩০) ও তার সহকারী মাহবুব আলম (২৮) মির্জাপুর থানায় এসে বসে আছেন। তারাও মামলা করবেন। ওমর আলী অভিযোগ করেন, ‘ওরা (চালক ও তার সহকারী) ঘটনার সঙ্গে জড়িত। ওরা আসামি হবে। আবার ওরাই মামলা করার জন্য এসে বসে আছেন। এটা কী হচ্ছে বুঝতে পারছি না।’

এসআই খায়রুল বাসার জানান, চলন্ত বাসে ডাকাতির ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। তবে তার কাছে এজাহার নেই। তাই সেখানে কী লেখা হয়েছে, সেটা তিনি বলতে পারেননি।

এ বিষয়ে মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় মামলা করেছেন বাসযাত্রী নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার ওমর আলী হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত ৮ থেকে ৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।