পায়ের রগ কাটার মত কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি: চিকিৎসকের উদ্ধৃতি দিয়ে এমসি কলেজ অধ্যক্ষ

আহত
আহত শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান রিয়াদ ও কলেজ অধ্যক্ষ

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের একটি মন্তব্যের (কমেন্ট) জেরে সিলেটের মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজ ছাত্রাবাসে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তারা হলেন- মিজানুর রহমান রিয়াদ ও জাহিদুল ইসলাম হৃদয়।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে কলেজ ছাত্রাবাসের ১ম ব্লকে এ ঘটনা ঘটেছে। পরে দুজনকেই সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ হামলায় আহতের একজন মিজানুর রহমান রিয়াদ। ঘটনার পর ফেসবুকে তার পায়ের রগ কাটা হয়েছে বলে ছড়িয়ে পড়েছে। পরবর্তীতে এ নিয়ে বিবৃতিও দিয়েছে ছাত্রদলসহ একাধিক সংগঠন।

শাখা ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে উঠা এই অভিযোগ নিয়ে কথা হয় এমসি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবুল আনাম মো. রিয়াজের সঙ্গে। আজ বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে চিকিৎসকের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আহত শিক্ষার্থীর পায়ের রগ কাটার মত কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

প্রফেসর আবুল আনাম মো. রিয়াজ বলেন, ভুল বুঝাবুঝি নিয়ে এ ঘটনাটি ঘটেছে। আমি হলের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বললে তারা জানায়, রাতের সাড়ে ১১টার পর কিছু শিক্ষার্থী তার রুমে আসে। তার সাথে কথা কাটাকাটি হয় এক পর্যায়ে তাকে মারধর করে। এতে কোনো সংগঠনের কেউ জড়িত ছিল না। যাদের মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে তারা সাধারণ শিক্ষার্থী। 

অধ্যক্ষ বলেন, এ ঘটনার পর আজ আমরা হাসপাতালে গিয়ে আহত শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলেছি। তখন সে আমাদের জানায়, তাকে যারা হামলা করেছে তারা শিবিরের সাথে জড়িত। হাসপাতালে এবং তার পায়ের দিকে একটি স্টিচ (সেলাই) দেখতে পেয়েছি।

তিনি আরও জানান, আমরা তাকে নাক ফোলা দেখতে পেয়েছি। আর আমি চিকিৎসকের সাথে কথা বলেছি। চিকিৎসক জানায়, পায়ের রগ কাটার মত কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। 

‘‘পায়ে কোন বস্তুর আঘাতে হয়তো থেঁতলে গেছে। তাই একটি স্টিচ (সেলাই) করতে হয়েছে। বর্তমানে তার শারীরক অবস্থা ভালো আছে। তাকে সকাল ১১টায় হাসপাতাল থেকে রিলিজ করা হয়েছে।’’