‘২৫ ডিগ্রির নিচে এসি চালালে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে’

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান © সংগৃহীত

আগামী গ্রীষ্মে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে চালানো যাবে না। কেউ এই নির্দেশনা অমান্য করলে তার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে, পাশাপাশি নেওয়া হবে আইনগত ব্যবস্থা।  

আজ সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কার্য-অধিবেশন শেষে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, আগামী গ্রীষ্মে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম তাপমাত্রায় এসি চালানো যাবে না। কেউ এই নির্দেশনা অমান্য করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি জানান, গ্রীষ্মে বিদ্যুতের চাহিদা প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে যায়। শীতকালে যেখানে চাহিদা থাকে ৯ হাজার মেগাওয়াট, সেখানে গ্রীষ্মে তা ১৭ থেকে ১৮ হাজার মেগাওয়াটে পৌঁছায়।  

ফাওজুল কবির খান বলেন, দুটো কারণে গ্রীষ্মে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যায়। প্রথমত, সেচের জন্য ২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয়, যা জাতীয়ভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দ্বিতীয়ত, ৫ থেকে ৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ শুধু এসির ব্যবহারেই ব্যয় হয়। এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রির ওপরে রাখলে ২ থেকে ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা সম্ভব।  

শুধু শহর নয়, এখন গ্রামেও এসির ব্যবহার ছড়িয়ে পড়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, অনেকে সোয়েটার, কোট পরে এসি চালান। আমাদের দেশে এত কম তাপমাত্রার প্রয়োজন নেই। তাই এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে বিদ্যুৎ সরবরাহ ও বিতরণ কোম্পানিগুলো মনিটরিং টিম গঠন করবে বলে জানান তিনি।  

ফাওজুল কবির খান বলেন, যেসব এলাকায় অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার হবে, সেখানে লোডশেডিং করা হবে। তবে আগেই জানিয়ে দেওয়া হবে। শহর ও গ্রামের মধ্যে কোনো পার্থক্য রাখা হবে না, সবাইকেই সমানভাবে লোডশেডিং সহ্য করতে হবে। কেপিআই (Key Point Installation) বাদ দিয়ে লোডশেডিং হবে। 

এ সময় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, লোডশেডিং শুরু হলে আমার বাসা থেকেই শুরু হবে।