‘ইউরোপীয় সেনাবাহিনী’ গঠনের আহ্বান ভলোদিমির জেলেনস্কির

মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন ভোলোদিমির জেলেনস্কি
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন ভোলোদিমির জেলেনস্কি © এএফপি

রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা গড়ে তুলতে ‘ইউরোপীয় সেনাবাহিনী’ গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। একই সাথে তিনি ধারণা করছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপের সহায়তায় আর এগিয়ে নাও আসতে পারে। 

আজ শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ৬১তম মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে বক্তব্যে সেনাবাহিনী গঠনের এ আহ্বান জানান জেলেনস্কি। 

জেলেনস্কি তার বক্তব্যে আরো বলেন, ‘ইউক্রেন নিয়ে কোনো চুক্তি আমরা মেনে নেব না যেটি আমাদের ছাড়া হবে।’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ফোনালাপের পর শান্তি আলোচনা শুরু করতে সম্মত হওয়া প্রসঙ্গে তিনি এ কথা বলেন।

অন্যদিকে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স শুক্রবার দেওয়া এক ভাষণে ইউরোপীয় গণতন্ত্রের সমালোচনা করে বলেন, প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে ইউরোপকে ‘বড় ভূমিকা নিতে হবে’।

এ প্রসঙ্গে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘গতকাল মিউনিখে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট স্পষ্ট করে বলেছেন, ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের পুরোনো সম্পর্কের যুগ শেষ হয়ে যাচ্ছে। এখন থেকে সব কিছু বদলে যাবে এবং ইউরোপকে এর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমি সত্যিই বিশ্বাস করি, সময় এসেছে—ইউরোপের সেনাবাহিনী গঠন করতে হবে।’

ইউরোপের একটি সেনাবাহিনীর ধারণা আরও অনেক নেতারাও প্রস্তাব করেছেন। এর মধ্যে আছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁও। মাখোঁ দীর্ঘ সময় ধরে ইউরোপীয় ব্লকের নিজস্ব সামরিক বাহিনীর ধারণাকে সমর্থন করেছেন, যাতে ইউরোপের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীলতা কমানো যায়।

জেলেনস্কি বলেন, ‘কয়েক দিন আগে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমাকে পুতিনের সঙ্গে তার আলাপচারিতার কথা বলেছিলেন। তিনি একবারও বলেননি, এ আলোচনার টেবিলে আমেরিকার পাশাপাশি ইউরোপের উপস্থিতিও প্রয়োজন। এটি অনেক কিছু বুঝিয়ে দেয়।’

এ ছাড়া জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ বলেন, তার দেশ কখনো চাপিয়ে দেওয়া শান্তি মেনে নেবে না। পাশাপাশি পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টুস্ক বলেন, ইউরোপের ইউক্রেন ইস্যুতে নিজেদের পরিকল্পনা থাকা দরকার, ‘অন্যথায় বিশ্বের অন্য শক্তিগুলো আমাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।’