আল্লাহ যাদের ভালোবাসেন না
- ১০ জুলাই ২০২৫, ১৫:৪৫
মহান আল্লাহর ভালোবাসা ও তার সন্তুষ্টি অর্জন মুমিন জীবনের পরম লক্ষ্য। মুমিন তার রবের সন্তুষ্টি ও ভালোবাসা পাওয়ার লক্ষ্যে গোটা জীবন ইবাদত করে। যে তার রবের ভালোবাসা পেয়ে যায় সে পরম সৌভাগ্যবান। যে পায় না সে চরম দুর্ভাগা।
আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রিয় বান্দাদের সতর্কতার জন্য কোরআনে কারিমের বিভিন্ন আয়াতে সেই হতভাগ্যদের কথা উল্লেখ করেছেন—
১. সীমা লঙ্ঘনকারী: কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা সীমা লঙ্ঘনকারীদের ভালোবাসেন না।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৯০)
২. অকৃতজ্ঞ পাপী: কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ তাআলা কোনো অকৃতজ্ঞ পাপীকে ভালোবাসেন না।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৭৬)
৩. অত্যাচারী: কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ তাআলা অত্যাচারীদের ভালোবাসেন না।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ৫৭)
৪. কাফের: কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ তাআলা কাফেরদের ভালোবাসেন না।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ৩২)
৫. বিশ্বাস ভঙ্গকারী পাপী: কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা বিশ্বাস ভঙ্গকারী পাপীকে ভালোবাসেন না।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ১০৭)
৬. দাম্ভিক অহংকারী: কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা কোনো দাম্ভিক অহংকারীকে ভালোবাসেন না।’ (সুরা : লোকমান, আয়াত : ১৮)
৭. অপচয়কারী: কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই তিনি অপচয়কারীদের ভালোবাসেন না।’ (সুরা : আনআম, আয়াত : ১৪১)
৮. অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী: কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ তাআলা অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের ভালোবাসেন না।’ (সুরা : মায়েদা, আয়াত : ৬৪)
৯. ধোঁকাবাজ প্রতারক: কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা কোনো ধোঁকাবাজ প্রতারককে ভালোবাসেন না।’ (সুরা : আনফাল, আয়াত : ৫৭)
আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে তাঁর অপছন্দনীয় কাজ থেকে বিরত থাকার তৌফিক দান করুন। আমিন।