বাংলাদেশের সংস্কারে পুনঃসমর্থন দিলো বিশ্বব্যাংক
- ১০ জুলাই ২০২৫, ১৫:৪৯
বিশ্ব ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার এজেন্ডাকে সমর্থন করার জন্য বিশ্বব্যাংকের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। আজ মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন জমুনায় ড. মোহাম্মদ ইউনূসের সাথে আলাপচারিতায় এ কথা বলেন মার্টিন রেইজার।
তারা পারস্পরিক স্বার্থের ব্যাপারে আলোচনা করেন। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের স্বচ্ছতা, শাসনব্যবস্থা এবং কর প্রশাসনের ডিজিটালাইজেশন নিয়ে আলোচনা করা হয়।
বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘কর নীতি ও প্রশাসন, সরকারি ক্রয় ও পরিসংখ্যানসহ স্বচ্ছতা ও শাসনব্যবস্থার উন্নতির জন্য জরুরি সংস্কারের মাধ্যমে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে সহায়তা করছে।’
রেইজার জানান, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পরিবর্তন এবং ভবিষ্যৎ সরকার ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির জন্য সংস্কার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, ‘এই সংস্কারগুলো বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর অখণ্ডতার প্রতি জনগণ ও ব্যবসায়ীদের আস্থা জোরদার করবে এবং ভবিষ্যতের অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির ভিত্তি স্থাপনে সহায়তা করবে।’
রাজস্ব ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও শাসনব্যবস্থার উন্নতির জন্য কর প্রশাসন ও কর নীতিকে পৃথক করার আহ্বান জানান তিনি।
রেইজার বলেন, ‘কর ছাড়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে একমাত্র কর্তৃপক্ষ হওয়া উচিত সংসদের।’
প্রধান উপদেষ্টা ছয়টি বড় কমিশনের সুপারিশকৃত সংস্কারের বিষয়ে এবং রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে সংলাপের সুবিধার্থে তার সাম্প্রতিক একটি ঐকমত্য কমিশন গঠনের বিষয়ে ব্যাখ্যা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছে গেলে, একটি জুলাই সনদ স্বাক্ষর করা হবে, যা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং পরে রাজনৈতিক সরকার দ্বারা বাস্তবায়িত হবে।’
রেইজার গণ সংগ্রহের উন্নতি এবং তথ্যের মান উন্নত করতে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর স্বাধীনতার গুরুত্বের উপরও জোর দেন, যা সঠিক নীতিনির্ধারণে অপরিহার্য।
বৈঠকে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সহ শক্তিশালী ডিজিটাইজেশনের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করা হয়। রেইজার জানান, শক্তিশালী ডিজিটাল পরিকাঠামো রয়েছে এমন দেশগুলির সঙ্গে ঢাকাকে যুক্ত করতে বিশ্বব্যাংক সাহায্য করতে পারে।