ছাত্রলীগের বিচারসহ ৩ দাবিতে চুয়েট উপাচার্য ভবনে তালা শিক্ষার্থীদের

উপাচার্য ভবনের মূল ফটকে তালা

ছাত্রলীগের সাবেক সদস্যদের বিচার, মদ্যপানে অভিযুক্ত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষক শাফকাত আর রুম্মানের বিচার এবং চুয়েট প্রশাসনের সংস্কারের দাবিতে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) উপাচার্য ভবনের মূল ফটকে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা বারোটায় এ ঘটনা ঘটে।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর থেকেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা ও বিভিন্ন সময়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের নির্যাতনের প্রতিবাদ স্বরূপ অভিযুক্তদের বিচারের দাবি করেন অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এরপর থেকে তারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দাবি প্রশাসনের নিকট তুলে ধরেছেন বলে জানা যায়। তবে প্রশাসনকর্তৃক দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় অভিযুক্তদের বহিস্কারের আল্টিমেটাম নিয়ে উপাচার্য ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

এই বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চুয়েট সমন্বয়ক মাহফুজার রহমান মোহাব্বত জানান, ‘স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর থেকে আমরা বারবার ছাত্রলীগের বিচারের দাবিতে প্রশাসনের কাছে গিয়েছি। কিন্তু চুয়েট প্রশাসন প্রতিবারই টালবাহানা করেছে। বুয়েট, কুয়েট, সাস্ট সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে বিচারের ব্যবস্থা নিলেও চুয়েট প্রশাসন থেকে তেমন কোনো পদক্ষেপ দেখা যায় নি। তাই আমরা আজ ছাত্রলীগের সদস্যদের বহিস্কার, ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও মদ্যপানে অভিযুক্ত পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষক শাফকাত আর রুম্মানের বিচারের দাবি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নিকট এসেছি। কিন্তু বারবার উনার সাথে যোগাযোগ করার পরেও এখন পর্যন্ত আমরা তার দেখা পাইনি। তাই দাবি আদায়ে আমরা উপাচার্য ভবনের মূল ফটকে তালা দিয়ে অবস্থান নিয়েছি।’

কম্পিউটার ও বিজ্ঞান কৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আতফান বিন নূর বলেন, আমরা ছাত্রলীগের বিচারের দাবিতে বিভিন্ন সময়ে প্রশাসনের কাছে গিয়েও উপযুক্ত কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখি নি। যার কারণে তারা এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হুমকি দেয়ার মত দুঃসাহস দেখাচ্ছে। আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু বিচার চাই। আমরা অভিযুক্তদের বহিস্কার চাই। তাই দাবি আদায়ে আমরা আজ উপাচার্য ভবনের অবস্থান নিয়েছি।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্র কল্যাণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ছাত্রলীগের বিচারের দাবি নিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনে এসে অবস্থান নিয়েছে। আমরা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলতে গিয়েছিলাম। কিন্তু শিক্ষার্থীরা উপাচার্য মহোদয়ের সাথে আলোচনা করতে চেয়েছে। আমরা উপাচার্য মহোদয়কে এ ব্যাপারে অবগত করেছি। তিনি বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন এবং বিকাল চারটায় ছাত্রদের সাথে আলোচনায় বসার সময় দিয়েছেন। আশা করছি, আলোচনা শেষে এর একটি সমাধান আসবে।’